স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করলেন মিতেশ পটেল

Spread the love
স্বামী যে সমকামী জানতেন না স্ত্রী। ইচ্ছাকৃতই স্ত্রীকে জানতে দেননি মিতেশ পটেল। ব্রিটেন নিবাসী এই ভারতীয় স্ত্রীকে খুন করারই দিন গুনছিলেন। স্ত্রী জেসিকা পটেলের টাকার উপরই তাঁর নজর ছিল। চলতি বছরের মে মাসে জেসিকার মুখে প্লাস্টিক ব্যাগ আটকে তাঁকে খুন করেন মিতেশ।
খুনের কথা এতদিন অস্বীকার করেই এসেছেন। অবশেষে ব্রিটিশ পুলিশের লাগাতার জেরায় ভেঙে পড়েন। মঙ্গলবারই স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করলেন মিতেশ পটেল।
২০১৫ সাল থেকে অমিত পটেল নামে এক ডাক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক মিতেশের। তার কয়েক মাস আগেই জেসিকা-মিতেশের বিয়ে হয়।স্ত্রীকে নিয়ে ব্রিটেনের মিডলসব্রোতে থাকতেন মিতেশ। দুই জনেই পেশায় ফার্মেসিস্ট। ২০১৫ সাল থেকেই স্ত্রীকে খুন করার ছক করছিলেন । প্রেমিক অমিত পটেলের সঙ্গে মোবাইলে এই নিয়ে দীর্ঘ চ্যাটও চলে মিতেশের। যা উদ্ধার করেছে পুলিশ।চ্যাটে মিতেশ অমিতকে লিখছেন, ‘ওঁর জীবনের আর কয়েকটা দিনই বাকি, আমরা তারপরেই এক হয়ে যাব।
জেরায় মিতেশ স্বীকার করেন, ২০১৬ সালে একটা বড় অঙ্কের টাকা পাওয়ার কথা ছিল জেসিকার। সেই টাকার লোভেই তখন তাঁকে খুন করতে পারেননি। চলতি বছরের মে মাসে জেসিকাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়। প্রথমে তাঁর শরীরে বিষক্রিয়া হবে, এমন ইনজেকশন দেন মিতেশ। পরে সুপারমার্কেট থেকে আনা বড় প্লাস্টিক ব্যাগে মুখ আটকে জেসিকার শ্বাসরোধ করা হয়। এরপরই নিজের ব্যাঙ্কে ২ লক্ষ পাউন্ড ট্রান্সফার করে মিতেশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, টাকাটা জেসিকারই ছিল।
খুনের পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মিতেশ। পরে পুলিশকে খবর দেয় জেসিকাদের প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করার পর থেকেই স্ত্রীকে খুনের কথা অস্বীকার করে এসেছেন মিতেশ পটেল। তবে, ব্রিটিশ গোয়েন্দারা তাঁর কথা বিশ্বাস করেননি। ২০১৫ সালে একটি ” গে চ্যাটিং অ্যাপ”-এ অমিত পটেলের সঙ্গে আলাপ হয় মিতেশের। সিডনির বাসিন্দা অমিত পেশায় ডাক্তার। জেসিকা খুনে তাঁরও হাত আছে বলে জানাচ্ছে ব্রিটিশ পুলিশ।চলছে অমিত পটেলের খোঁজ।
জেসিকা-মিতেশ দুজনেই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটিতে একসঙ্গে পড়তেন। সেখান থেকেই প্রেম ,বিয়ে। দুজনেই পেশায় ফার্মেসিস্ট।  মিডলসব্রোতে বাড়ির সামনেই একসঙ্গেই চেম্বার করেছিলেন তাঁরা। খুনের আগেও জেসিকা জানতেন না তাঁর স্বামী সমকামী। যা নিজেই স্বীকার করলেন মিতেশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*