বঙ্গ বিজেপিতে মিঠুন চক্রবর্তীর প্রত্যাবর্তন। আর রাজনীতির ময়দানে ফিরেই সুপারহিট ‘মহাগুরু’। সোমবার রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুরোদমে গেরুয়া শিবিরের হয়ে কাজের ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
মিঠুন চক্রবর্তী এদিন বলেন, আমি রাজনীতি করিনা, আমি মানুষ-নীতি করি। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই এবং সেটা করবও।” রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হল? প্রকাশ্যে সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি শুধু জানান, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাঁকে কিছু কাজ দিয়েছেন। তিনি সেটা করবেন।
সোমবারই রাজ্যের বিরোধী দলনতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ২০২৬ নয়, ২০২৪ সালে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হবে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ‘মহাগুরু’ বলেন, “যদি কাউকে থাকতে হয় থাকবে। যদি যেতে হয় যাবে। আমি কিছু বলব না।”
এদিন রাজ্য বিজেপি দফতরে যান মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহা, রুদ্রনীল ঘোষের মতো গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। অসুস্থতা কাটিয়ে ‘মহাগুরু’র কামব্যাকে উজ্জীবিত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডের সভায় হাতে পদ্ম পতাকা তুলে নেন ‘মহাগুরু’। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য বাংলার মানুষকে আহ্বান জানান তিনি। এরপর গোটা বাংলায় বিজেপির হয়ে প্রচার করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে ফলাফল বেরলে দেখা যায়, বিজেপির বাংলায় সরকার গড়ার স্বপ্ন বিফলে গিয়েছে। এরপর থেকে বঙ্গ রাজনীতি এবং বিজেপিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে তেমন একটা দেখা যায়নি। তবে তাঁর ফের সক্রিয় হওয়ার জল্পনা উস্কে দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
তবে হঠাৎ করে আবার রাজ্য বিজেপি দপ্তরে মিঠুনের আসা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, মিঠুনের কোনও প্রভাব নেই। মিঠুন কোনও জায়গায় দাঁড়িয়ে লড়াই করতে পারে না। বলিউডে প্রভাব হারিয়ে উটিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। হোটেল খুলেছিল। ওর সেসবই করা ভাল। সেই মিঠুন আর নেই। একবছর আগে পাঠিয়ে কোনও লাভ হয়নি। একবছর পরে যারা পাঠিয়েছে তারা বুঝবে। কিছু নেওয়ার জন্য যারা দল পরিবর্তন করে তারা রাজ্যের কী পরিবর্তন করবে। বাংলার মানুষ এসব পছন্দ করে না।
Be the first to comment