জল্পনাই সত্যি হল। একুশের নির্বাচনের মুখে বিজেপিতে যোগ দিলেন সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড মঞ্চে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিলেন ‘ডিস্কো ডান্সার’। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে আদ্যপান্ত বাঙালিবাবুর সাজে এদিন ব্রিগেড যান মিঠুন।
মিঠুনের মতো সুপারস্টারের ক্যারিশমা ও বাঙালিয়ানাকে কাজে লাগিয়ে একুশের নির্বাচনে বিজেপি অনেকটাই অক্সিজেন পাবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের। অন্যদিকে, বাংলায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়েও চর্চার অন্ত নেই। অমিত শাহ স্বয়ং ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলার ভূমিপূত্রকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।’ মিঠুনের যোগদানের পর সেই শাহের সেই মন্তব্য নয়া মাত্রা পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, মিঠুনকে ঘিরে জল্পনার সূত্রপাত বসন্তপঞ্চমীর সকাল থেকে। ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর সকালে মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বইয়ের বাড়িতে যান RSS প্রধান মোহন ভাগবত। দীর্ঘক্ষণ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। যদিও সেদিন সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আধ্যাত্মিকতার প্রসঙ্গের বাইরে অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা সে নিয়ে মুখ খোলেননি মহাগুরু।
তবে মোদীর মেগা ব্রিগেডকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠে সুস্পষ্টভাবে ভেসে ওঠে মিঠুন চক্রবর্তীর নাম। ব্রিগেড সমাবেশের আগের রাতে BJP নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে মিঠুনের সাক্ষাৎ আরও জল্পনা উস্কে দেয়। কার্যত ধোঁয়াশা রেখে টুইট করেন কৈলাস। তিনি লেখেন, ‘আজ বেলগাছিয়ায় শ্রী মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বার্তালাপের পর নিজের অনুভূতি টুইটারে জানালেন শ্রী কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি লেখেন, ‘গভীর রাত পর্যন্ত বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুন দাদার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হল। দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং দরিদ্র মানুষের প্রতি তাঁর অবদানের কাহিনী শুনে আমার হৃদয় পরিপূর্ণ।’ সূত্রের খবর, এদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মিঠুনের বাড়িতেই ছিলেন BJP নেতা। দীর্ঘ আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে।
Be the first to comment