স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন নিজের সিট হিসেবে বেছে নিয়েছেন নন্দীগ্রাম, তেমনি বিজেপি তাঁদের ‘সেরা’ অস্ত্র শুভেন্দুকেও দাঁড় করিয়েছেন। আর এই মহারণে শুভেন্দু একা নন, তাঁর প্রচারে পাঠানো হচ্ছে একঝাঁক শীর্ষ নেতা-নেত্রীকে।
জানা গিয়েছে, আগামী ১২ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেবেন শুভেন্দু। আর সেই সময় তাঁকে ঘিরে রাখবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তার আগে ১১ মার্চ হলদিয়াতে স্মৃতির সভা করারও কথা রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবারই নন্দীগ্রাম পৌঁছেছেন প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করেছেন কর্মীসভা। আগামিকাল, বুধবার তার মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা হলদিয়ায়। বেলা দু’টো নাগাদ হলদিয়া প্রশাসনিক ভবনে তার মনোনয়ন পেশ করার কথা।
তবে, শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা মিঠুনের মতো জনপ্রিয় তারকা নয়, শুভেন্দুর হয়ে প্রচারে আসছেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী, এমনটাই খবর। ব্রিগেড সফরের ১৫ দিনের মধ্যে আরও একবার বাংলায় আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিজেপি সূত্রের খবর, ১৮ মার্চ পুরুলিয়া এবং ২০ মার্চ কাঁথিতে জনসভা করবেন তিনি। আর কাঁথির সেই জনসভা থেকেই আবার শুভেন্দুকে জয়ী করার ডাক দেবেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা জয়ই এখন বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। চমক দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে দলে এনেছে তাঁরা। ব্রিগেড মঞ্চে মোদীর বক্তব্যের পাশাপাশি ‘মহাচমক’ ছিল ‘মহাগুরু’। তিনি নিজেও জানিয়েছেন, বিজেপি তাঁকে যে দায়িত্ব দেবে, তিনি নিতে রাজি। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, মিঠুনকে প্রার্থী করা হতে পারে। কিন্তু তার থেকেও বেশি করে গ্রামগঞ্জে মিঠুনকে প্রচারে কাজে লাগানো হবে। আর সেই সূত্রেই শুভেন্দুর প্রচারে মিঠুনকে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনে দুই মেদিনীপুর-সহ জঙ্গলমহলে অতিরিক্ত নজর দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির পুরুলিয়ার সভার অন্যতম উদ্দেশ্য থাকবে জঙ্গলমহলবাসীর মন জয়।
অন্যদিকে ২০ তারিখ কাঁথিতে সভা করবেন নমো। সেখানে মূলত পূর্ব মেদিনীপুরের প্রার্থীদের জেতানোর কথা বলবেন তিনি। অপরদিকে, এবার নন্দীগ্রামেই ভোট দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। হলদিয়ার বদলে, এবার তিনি ভোট দেবেন নন্দীগ্রামের বুথে।
বিধানসভা ভোটের আগে মমতা-শুভেন্দু- এই দুই হেভিওয়েটের লড়াইয়ে জমজমাট বঙ্গ রাজনীতি। মমতা বন্দোপাধ্যায় আগেই বলেছেন, তিনি সব সময় প্রচারে সময় দিতে পারবেন না নন্দীগ্রামে। তবে ভোটের পরে তিনি নিয়ম করে নন্দীগ্রাম যাবেন।
বিজেপি সূত্রের খবর, মিঠুনকে গোটা রাজ্যে প্রচারে নামাতে চাইছে তারা। তবে এপ্রিলের গরম ও মিঠুনের বয়সের কথা মাথায় রেখে তাঁর কর্মসূচি সাজানো হচ্ছে।
Be the first to comment