বৃহস্পতিবার সারাদিনে বার তিনেক কাঁপল ভারতের আদ্যোপ্রান্ত। আন্দামান-নিকোবর দীপপুঞ্জ, দিল্লির পর দিনশেষে মিজোরাম। রিখটার স্কেলে ৫.০ কম্পাঙ্কের তীব্রতা ধরা পড়ে। সিজমোলজির জাতীয় কেন্দ্র জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭.২৯ মিনিটে চাম্ফাইয়ের ৯৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত করে। তবে, ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
সম্প্রতি কিছুদিন ধরে ঘনঘন মৃদু থেকে মাঝারি কম্পাঙ্কের ভূমিকম্প হয়ে চলেছে ভারতের নানা প্রান্তে। ভারতের, উত্তর, উত্তর-পূর্ব থেকে পশ্চিম কোথাও বাদ নেই। গত কয়েক দিনে দিল্লিই কেঁপেছে বারকতক। বৃহস্পতিবার একদম ভোরে কম্পন অনুভূত হয় রোহতক-সহ হরিয়ানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। যদিও কম্পন ছিল মৃদু। ভোর ৪টে ১৮ মিনিটে রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ধরা পড়ে ২.১। ভূমিকম্পের উত্পত্তিস্থল ছিল রোহতক থেকে ১৫ কিলোমিটার পূর্ব-পশ্চিমে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৫ কিমি গভীরে।
এদিন সকালে কম মাত্রার আর একটি কম্পন অনুভূত হয় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। বুধবার কেঁপে উঠেছিল মুম্বইও। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ২.৫। তার দু-দিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরে জোরালো ভূমিকম্প হয়। তাজাকিস্তানে জোরালো কম্পনের জেরে নড়েচড়ে ওঠে জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকা। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.৮।
জাতীয় ভূমিকম্পকেন্দ্র থেকে জানানো হয়, আন্দামান-নিকোবরে কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার সাবাংয়ের ২৯০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০কিমি গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ধরা পড়ে ৪.৮। সকাল সকাল কম্পনে দ্বীপপুঞ্জে প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। চলতি সপ্তাহে মোট চার বার ভারতের উত্তর-পশ্চিম কম্পন অনুভূত হয়। কেঁপে উঠে দিল্লি, গুজরাত ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
রেকর্ড বলছে, এপ্রিল ও মে এই দু-মাসে ১৬ বার ভূমিকম্প হয়েছে রাজধানীতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে রোহতকের পার্শ্ববর্তী এলাকা ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পন মৃদু ছিল। কিন্তু, একের পর মৃদু কম্পনের জেরে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে বিষেশজ্ঞরা জানিয়েছেন, বারবার কম্পন হওয়া মানেই তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প হতে চলেছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। তবে প্রস্তুতির জন্য নজরদারি চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের বক্তব্য, অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভূমিকম্পের কোনও পূর্বাভাস দেওয়া যায় না।
Be the first to comment