আমাদের দেশের আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের ঘুমোনোর ছবি নতুন কিছু নয়। কিন্তু তা বলে এমন কম্বল পেতে, চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুম? আস্থা ভোট না হওয়ায় কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এমন ছবিই দেখা গেল বিধানসভার মেঝেতে।
১৯৫৯-এর খাদ্য আন্দোলনের সময় গ্রেফতার এড়াতে জ্যোতি বসুও বেশ কয়েক রাত বিধানসভায় কাটিয়েছিলেন। কিন্তু তা বলে লুঙ্গি ট্রাউজার্সে এইভাবে ঘুম বোঝহয় সেদিনও হয়নি।
বৃহস্পতিবার কর্ণাটকে বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে বিজেপি দাবি করেছিল, এদিনই আস্থাভোট করতে হবে। সন্ধে নাগাদ স্পষ্ট হয়ে যায় ভোটাভুটি করাবেন না অধ্যক্ষ। গত দু’সপ্তাহে শাসক জোটের মোট ১৬ জন বিধায়ক স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। স্পিকার এখনও সেগুলি গ্রহণ করেননি। গ্রহণ করলে সরকার নিশ্চিত ভাবেই গরিষ্ঠতা হারাত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি-ও ঘুম কৌশল নিয়ে সারা রাত এক জায়গায় রেখে দিল নিজের বিধায়কদের। যাতে হিসেবে গোলমাল না হয়ে যায়৷
Be the first to comment