ইন্ডিয়ান গেটে অমর জওয়ান জ্যোতির বদলে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল থেকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন ৷ প্রতিবার ইন্ডিয়া গেটে অমর জওয়ান জ্যোতি থেকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের রীতি থাকলেও এবছর তা বদলে নয়া পথে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি ৷
২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের জন্য রাজপথে পৌঁছনোর আগে নতুন তৈরি হওয়া এই জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন নমো ৷ সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ ও তিন আধিকারিক ৷ ২০১৯-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি, নরেন্দ্র মোদি এই ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের উদ্বোধন করেন৷ দেশের জন্য যেসব জওয়ান শহিদ হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতেই এই ওয়ার মেমোরিয়ালের সূচনা হয়৷ প্রায় ৪০ একর জায়গার উপর তৈরি এই ওয়ার মেমোরিয়াল ৷ মাঝে রয়েছে ১৫.৫ মিটার লম্বা একটি স্মারকস্তম্ভ ৷ সেখানে অমর জওয়ান জ্যোতির মতোই রয়েছে অবিরাম জ্বলতে থাকা একটি মশাল ৷ যেখানে ব্রোঞ্জের উপর এযাবৎ ভারতের লড়া সেরা ৬টি যুদ্ধের ছবি খোদাই করা রয়েছে সেটিকে ঘিরে রয়েছে চারটি বৃত্ত, নাম অমর চক্র, বীরতা চক্র, ত্যাগ চক্র এবং রক্ষক চক্র ৷ গ্রানাইটের ফলকের উপর এপর্যন্ত শহীদ হওয়া ২৫,৯৮২ জওয়ানের নাম সোনার অক্ষরে লেখা রয়েছে ৷
১৯৪৭, ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধ, ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধ, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের জওয়ানদের সহ এযাবৎ ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনার লড়া মোট ৬টি যুদ্ধকে উত্সর্গ করা হয়েছে এই মেমোরিলাল। এছাড়া ব্রিটিশ রাজের সময়ই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং ১৯১৯ সালে হওয়া তৃতীয় অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধে শহীদ জওয়ানদের সম্মানে অল ইন্ডিয়া ওয়ার মেমোরিয়াল আর্চ হিসেবে ৪২ মিটার উঁচু ইন্ডিয়া গেট তৈরি করা হয় ৷
শহিদের প্রতি সম্মানে অমর জওয়ান জ্যোতিতে সারা বছরই অনির্বাণ শিখা জ্বলে ৷ ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে এই স্মারক স্তম্ভ ১৯৭২ সালে তৈরি হয় ৷ গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালেও অনির্বাণ শিখা জ্বালানো হয় ৷
২৬ জানুয়ারি উপলক্ষে প্রতিবারের মতো দিল্লির রাজপথে এবারও হয় প্যারেড অনুষ্ঠান৷ মোট ২২ টি ট্যাবলোয় সজ্জিত প্যারেড অনুষ্ঠান চলে প্রায় ৯০ মিনিট৷ , প্যারেডে সেনা, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা ও প্যারামিলিটারি ফোর্স অংশ নিল ৷ চার বছর পর এই প্যারেডে অংশ নিচ্ছে স্পেশাল ফোর্সও ৷ এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো৷
Be the first to comment