বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনাভাইরাসের জেরে আতঙ্কিত মানুষ। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত এখনও পর্যন্ত ৯০ হাজার ৪৪১ জন। মারণ এই ভাইরাস ইতিমধ্যেই ৬ জন ভারতীয়ের শরীরের ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মারণ এই ভাইরাস ভারতে হানা দিলে তা মহামারীর রূপ ধারন করতে পারে। তবে ভাইরাসের এই বিভৎসতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার একটি টুইট করে ভারতবাসীকে করোনা নিয়ে অযথা গুজবে কান দিতে মানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বরং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হয়ে লড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী করোনা নিয়ে তাঁর টুইটের পাশাপাশি এই ভাইরাস মোকাবিলায় তাঁর সরকার দেশবাসীর প্রাথমিক সুরক্ষায় কিকি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে, সেই সংক্রান্ত একটি গ্রাফিক্সও শেয়ার করেছেন। এছাড়াও দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে এদিন তিনি একটি বৈঠকও করেছেন।
যদিও এরআগেও তিনি জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একযোগে কাজ করা হবে। শুধু তাই নয় মারণ এই ভাইরাসের কারণে অযথা ভারতীয়দের আতঙ্কিত হতে মানা করেছেন তিনি। বরং কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায় সেই বিষয়ে সকলকে এগিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই বিষয়ে সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেদিনের বৈঠকেও দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই করোনা রুখতে একযোগে কাজ করার সম্মতি জানিয়েছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের সঙ্গেও মিটিং করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার কিকি পদক্ষেপ গ্রহন করেছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তিনি।
এদিন করোনাভাইরাস নিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। এদিন তিনি টুইটে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে একজন প্রকৃত দেশনায়কের উচিৎ কীভাবে মারণএই ভাইরাস মোকাবিলা করা যায় সেই দিকেই বেশি নজর দেওয়া। তিনি আরও বলেন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়লে তার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, কেরলে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তিনজনকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাদের শরীরে ভাইরাসের চিহ্ন না পাওয়াতে ওই তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ভাইরাসের জেরে কার্যত আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে একাধিক দেশ। সতর্কতা জারি করা হয়েছে হুয়ের তরফ থেকেও। আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে, যে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অর্থনীতিবিদরা।
Be the first to comment