দেশে করোনা মহামারির জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিক এবং গরিবরাই৷ ‘মন কি বাত’-এ তা স্বীকার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ একই সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকায় আরও সতর্ক থাকতে হবে বলে দেশবাসীর কাছে আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ এ দিনও অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর মুখে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ডাক শোনা গিয়েছে৷ তাঁর দাবি, দেশ আত্মনির্ভর হলে করোনা মহামারির মোকাবিলায় সমস্যা অনেকটাই কম হতো৷ তবে কন্টেইনমেন্ট জোন বাদে গোটা দেশে লকডাউন উঠলেও করোনার বিপদ এতটুকু কমেনি বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলায় ‘সেবাশক্তি’-র ক্ষমতা দেখেছে গোটা দেশ৷ মানুষ করোনা সংক্রমণ রুখতে এবং সামাজিক দূরত্ব মানতে যে সমস্ত উদ্ভাবনী শক্তি বের করেছেন, তারও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রাম, জেলা, রাজ্যগুলি আজ আত্মনির্ভর হলে এত সমস্যা হতো না৷ কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মানুষ আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছে৷ যা আমায় খুশি করেছে৷’ তাঁর দাবি, আত্মনির্ভর হতে পারলে চলতি দশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে দেশ৷
প্রধানমন্ত্রী এ দিনও দাবি করেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যুর হার অনেক কম৷ গোটা বিশ্ব করোনা মোকাবিলায় ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বলেও মনে করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের গরিব মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ লকডাউন শেষ করে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার পদক্ষেপও যে সেকথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
তবে লকডাউন শিথিল হলেও করোনার বিপদ যে এতটুকু কমেনি, এ দিন বার বার সে বিষয়ে সতর্ক করেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ তিনি সতর্ক করে বলেন, এখন গাছাড়া মনোভাব দেখালে এতদিনের যাবতীয় কষ্ট বৃথা যাবে৷ মন কি বাত-এর শেষদিকেও তিনি বলেন, ‘এত প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করে কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে দেশ৷ এই মুহূর্তে সতর্কতা মেনে চলা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই৷ আপনার এবং আপনার পরিবারের করোনা থেকে এখনও একই রকম বিপদ রয়েছে৷ ফলে, দুই গজের দূরত্ব, মাস্ক পরার মতো যাবতীয় বিধিনিষেধগুলি মেনে চলতেই হবে৷’
Be the first to comment