ভারত সীমান্তে কঠিন পরিস্থিতি। ২০ জওয়ান শহিদ হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে দিল্লিতে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। এরই মধ্যে চিনের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে প্রচুর অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে অনুমোদন দিল ভারত সরকার।
তিন বাহিনীকেই অস্ত্র কেনার আর্থিক ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্র। ৫০০ কোটি টাকায় যে কোনও অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের সংঘাতে আরও বেশি করে তেরি থাকতে পারে ভারত।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, তিন বাহিনী ভাইস চিফদের এই ৫০০ কোটি টাকার অস্ত্র কেনার অনুমোদন দেওয়া হবয়েছে। যে যে ক্ষেত্রে অভাব রয়েছে, তা পূরণ করার জন্য এই অস্ত্র কেনার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে উরি হামলা এবং বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পরও এরকমই আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় সেনাকে। সেইসময় প্রচুর অস্ত্র কেনা হয়। যার মধ্যে ছিল স্পাইস ২০০০ মিসাইল, স্ট্রাম আটক গ্রাউন্ড মিসাইল সহ একাধিক অস্ত্র। ইজরায়েল থেকে কেনা হয়েছিল স্পাইস অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল।
রবিবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলেছেন।
শুধু লাদাখ বা গলওয়ান উপত্যকা নয়, ভারত-চিন সীমান্তের পুরো এলাকাতেই সেনার তিন বাহিনীকে এই কড়া অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। রবিবার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত-সহ তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে রাজনাথ সিংহ এমনই বার্তা দিয়েছেন বলে সেনা সূত্রে খবর। চিনা সেনাকে যোগ্য জবাব দিতে তিন বাহিনীকেই ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দেওয়া হয়েছে বলেও বৈঠক সূত্রে খবর।
সোমবারই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন রাজনাথ সিংহ। তার আগেই এই বৈঠক সারলেন তিনি। এদিন সিডিএস বিপিন রাওয়াত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সেনাপ্রধান, নৌসেনা প্রধান এবং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়ার সঙ্গে বৈঠকে গলওয়ান উপত্যকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তিনি।
Be the first to comment