কোরোনার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও সুরক্ষা নিয়ে কারও মনে কোনও সংশয় থাকা উচিত নয়৷ শনিবার এই কথাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এদিন দেশজুড়ে শুরু হল কোরোনার টিকাকরণ ৷ সেই কর্মসূচির সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী এই কথা জানিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, যে দুটি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে, সেই দুটি ভ্যাকসিনের সবদিক আগেই খতিয়ে দেখেছেন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা ৷
কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রায় গত এক বছর ধরে লড়াই করছে ভারত৷ এখনও পর্যন্ত দেশের 1 লাখ 52 হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন৷ এই পরিস্থিতিতে কোরোনার ভ্যাকসিন এই লড়াই জিততে সাহায্য করবে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন৷
আজ, শনিবার থেকে দেশজুড়ে জরুরি ভিত্তিতে কোরোনার টিকাকরণ শুরু হল৷ কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত সরকার৷ কোভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক৷ এটা ভারতে তৈরি একমাত্র ভ্যাকসিন৷ আর কোভিশিল্ড তৈরি করেছে অক্সফোর্ড ও অস্ট্রোজেনকা৷ ভারতে এই ভ্যাকসিন তৈরির বরাত পেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট৷
তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি ভারতীয়র গর্বিত হওয়া উচিত যে সারা বিশ্বের শিশুদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন পাবে৷ আমরা এই সম্মান অর্জন করেছি৷’’ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে এই ভ্যাকসিন বিশ্বের অনেক উন্নত দেশগুলির থেকে কম খরচে এই টিকা পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়৷ তাঁর দাবি, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলিতে 5 হাজার টাকা প্রতি ডোজ় বিক্রি হচ্ছে ৷
ভারতে প্রথম দফায় কোরোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ এর পর প্রথম সারির কোরোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে৷ প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘সরকারি বা বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নিরাপত্তা কর্মী ও সাফাই কর্মীদের অধিকার রয়েছে সবার আগে কোরোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার৷’’ এর কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, লকডাউনের সময় এঁরাই বাড়ি-ঘর ছেড়ে সকলের জন্য পরিষেবা দিচ্ছিলেন৷ তাই এভাবেই সমাজ তাঁদের সম্মান জানাল৷
Be the first to comment