কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভ, মোদীর ভাষণ চলাকালীন কংগ্রেসের ওয়াক আউট

Spread the love

বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণের জবাবি বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ বুধবার সেই জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এল স্বামী বিবেকানন্দের নাম৷ স্বামী বিবেকানন্দের বাণী উল্লেখ করে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন৷ বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণের জবাবি বক্তৃতা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ বুধবার সেই জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এল স্বামী বিবেকানন্দের নাম ৷ স্বামী বিবেকানন্দের বাণী উল্লেখ করে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন ৷

এদিন ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মহিলা সাংসদের কথা তুলে ধরেন৷ মহিলা সাংসদদের ধন্যবাদ দেন ৷ মহিলা সাংসদরা গবেষণা করে বক্তৃতা করায় তিনি তাঁদের প্রশংসা করেন ৷ ভারত যে এক হয়ে এগিয়ে চলেছে, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশবাসীর ধন্যবাদ দেন৷ ভারত কখনও এক হতে পারবে না বলে ব্রিটিশরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন৷ তা ভারতবাসী মিথ্যা প্রমাণ করেছেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর ৷

করোনা কালে তিনটি কৃষি আইন এসেছে৷ কৃষি ক্ষেত্রের ভবিষ্যতের সমস্যা নিয়ে এখন থেকে মোকাবিলা করতে হবে ৷ কৃষি আইন কালো না সাদা তা নিয়ে আলোচনা অনেক হয়েছে৷ কিন্তু কৃষি আইনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন ৷

তৃণমূল বেঞ্চকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী৷ মোদী জানান, কৃষি আইন নিয়ে অনেক ভালো কথা বলবেন বলে ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ৷ কিন্তু তিনি বাংলায় কেন বিজেপি নেতারা যাচ্ছেন, তা নিয়ে বললেন ৷

কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী মোদির৷ কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগগুলি তুলছেন, তার প্রতিবাদ করছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি জানিয়েছেন, নতুন কৃষি আইন চালু হওয়ার পর দেশে কোনও মান্ডি বন্ধ হয়নি৷ বরং মান্ডিতে বেশি শস্য ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে৷ আর তা এমএসপিতেই হয়েছে৷

এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় বিরোধীরা বারবার বাধা দিয়েছে৷ বিশেষ করে কৃষি আইন নিয়ে বলার সময়৷ এই নিয়ে মোদির বক্তব্য, বিরোধীরা পরিকল্পনা করে এটা করছে৷ কারণ, এটা না করলে আসল সত্যিটা বেরিয়ে পড়বে৷ তখন বিরোধীরাই সমস্যায় পড়ে যাবে৷ এর পর প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইনের ইতিবাচক দিক তুলে ধরার কাজ শুরু করতেই লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করেন কংগ্রেস সাংসদরা৷

কোরোনার সময় ভারতের লড়াই এদিন উঠে এল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ৷ ভারত সারা বিশ্বের পাশে দাঁড়িয়ে নজির তৈরি করেছে বলে এদিন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ পাশাপাশি তাঁর মত, কোরোনার পর নতুন বিশ্ব তৈরি হতে চলেছে৷ নতুন নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে৷ এই প্রসঙ্গে তিনি কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির প্রসঙ্গ টেনে আনেন৷ ওই সাংসদ বলেছিলেন যে ভগবানের কৃপায় ভারত কোরোনা থেকে বেঁচে গিয়েছে৷ এর পালটা এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, ভগবানের কৃপা যে পৃথিবীর এত খারাপ হল৷ কিন্তু আমরা বেঁচে গেলাম৷ আর এই ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্সরা ভগবানের রূপ নিয়ে এসেছিলেন৷ সাফাই কর্মীরা মৃত্যুর ভয় না করে কাজ করেছেন৷ কোরোনার বিরুদ্ধে জয়ে তাঁরা সামিল হয়েছেন৷

প্রধানমন্ত্রীর দাবি, বিরোধীরা বলছে যে না চাইতে কেন আইন আনা হল? তাই নরেন্দ্র মোদির পালটা প্রশ্ন, ‘‘চাইলে তবে আইন হবে!’’ তাঁর কথায়, দেশে এখন গণতান্ত্রিক অবস্থা চলছে৷ এখন দেশে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা নেই যে মানুষ চাইবে তার পর কাজ হবে৷ সরকার কেন নিজে থেকে কেন কাজ করবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷ এই প্রসঙ্গে তিনি একাধিক পুরনো আইনের কথা বলেছেন৷ আয়ুষ্মান ভারতের প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছেন৷ এই কাজগুলি মানুষ না চাইতে হয়েছে৷ কারণ, মানুষের প্রয়োজন ছিল বলেই করে দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্প বা আইনগুলি৷

তাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, এই আইন কৃষকদের মঙ্গলে কাজ করবে৷ অন্নদাতা কৃষকরা যাতে ভালো থাকে, তার জন্য সকলকে উদ্যোগ নিতে হবে৷ এর সঙ্গে তিনি কৃষি আইন তৈরি করা ছাড়াও কৃষকদের উন্নতিতে মোদি সরকার ঠিক কী কাজ করেছেন, তা তুলে ধরেন৷ তিনি কিষান রেলের কথা বলেন৷ মোদির দাবি, কিষান রেল আসলে চলমান হিমঘর৷

কৃষি আইনে যে বিষয়গুলি আছে, তা নিয়ে মনমোহন সিং সরকারের কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ারের বক্তব্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি জানতে চান, তাহলে কেন এখন কংগ্রেস বিরোধিতা করছে, তা জানতে চান প্রধানমন্ত্রী৷

কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন৷ কিন্তু সেই আন্দোলনের লক্ষ্য ‘আন্দোলনজীবীরা’ বদলে দিয়েছে বলে তাঁর দাবি৷ এদিন লোকসভায় দাঁড়িয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে দেশদ্রোহীতা, জঙ্গি, নকাশপন্থী হওয়ার জন্য যাঁরা ধরা পড়েছেন, তাঁদের ছাড়ার দাবি কেন কৃষক আন্দোলন থেকে উঠেছে? কেন টোলপ্লাজা ভাঙা হয়েছে কৃষক আন্দোলনের সময়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*