বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তৃতা রাখতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অখণ্ডতার বার্তা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতি দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলবে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷
তবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সত্ত্বেও এ দিন বিশ্বভারতীর সমাবর্তন নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে৷ কারণ সমাবর্তনের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে পর্যন্তও পড়ুয়ারা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে অভিযোগ৷ হঠাৎই সমাবর্তনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় বলে অভিযোগ বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের৷
প্রধানমন্ত্রী এ দিন ভাষণের শুরুতেই বলেন, সশরীরে বিশ্বভারতীতে হাজির থাকতে পারলে তিনি খুশি হতেন৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বার বারই সমাজের সব স্তরের মানুষকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন৷ তিনি গোটা বিশ্বে জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রেখেছিলেন বিশ্বভারতী৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জ্ঞানের কোনও সীমা নেই৷ সেই ভাবনা থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য যদি ভাল কিছু করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে যে কোনও সমস্যার সমাধান বের করা সম্ভব৷ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখনও আধুনিক শিক্ষার জন্য গোটা দেশ বাংলার দিকেই তাকিয়ে থাকেন৷
এ দিন নতুন শিক্ষানীতিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁর দাবি, নতুন শিক্ষানীতি ছাত্রছাত্রীকে প্রকৃত ক্ষমতা কাজে লাগাতে সাহায্য করবে৷ শুধু তাই নয়, এই শিক্ষানীতি পড়াশোনায় লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতেও সাহায্য করবে বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷ এ দিনও প্রধানমন্ত্রীর গলায় বার বারই শোনা গিয়েছে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন গান, কবিতার কথা৷ বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বক্তব্য রেখেছিলেন মোদী৷
Be the first to comment