‘রবীন্দ্রনাথকে কোনও সীমানায় বেঁধে রাখা সম্ভব নয়’; বললেন নরেন্দ্র মোদী

Spread the love

বিশেষ প্রতিনিধি,

.বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে শান্তিনিকেতন পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করে নরেন্দ্র মোদী বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন। ভারত ও বাংলাদেশ দুটি আলাদা দেশ, কিন্তু আমাদের স্বার্থগত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সাংস্কৃতিকভাবে হোক কিংবা সরকারি নীতির দিক দিয়ে হোক, আমরা এক অপরের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখি। বাংলাদেশ ভবন তেমনই একটি দৃষ্টান্ত।

বাংলাদেশ ও ভারত দুটি আলাদা দেশ হলেও দুই দেশের স্বার্থগত সংযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মোদি এ কথা বলেন।

বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনে বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ ১৯৭১ সালে কীভাবে ভারতবাসী বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেকথাও উঠে এল মোদীর ভাষণে৷ কীভাবে ভারত সরকার প্রতি মুহূর্তে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে মোদী বলেন সেকথাও৷ মোদী উল্লেখ করেছেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে একে অপরকে সাহায্য করার কথা৷ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নতিতে ভারতের সাহায্যের কথা৷

ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের কাছে রবীন্দ্রনাথ কতটা আপন, সেকথা বোঝানোর জন্য মোদী বলেছেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথকে কোনও সীমানায় বেঁধে রাখা সম্ভব নয়৷’’ একই সঙ্গে মোদী জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকেও ভারতবাসী সমানভাবে সম্মান করে৷

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবন-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই ভবনে রয়েছে আধুনিক থিয়েটার, প্রদর্শনী কক্ষ, বিশাল লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরিতে রয়েছে সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে বই৷ এছাড়া, ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুর‌্যাল স্থাপন করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*