সম্প্রতি নতুন করে ইন্টারনেট জুড়ে সাড়া ফেলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমুদ্রের ধার থেকে নোংরা কুড়োচ্ছেন নিজে হাতে। প্রধানমন্ত্রীর এমন ছবি ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। তবে সেইসময় নরেন্দ্র মোদীর হাতে একটি জিনিস ছিল, যা নিয়ে প্রশ্ন জাগে অনেকেরই। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।
রবিবার ট্যুইট করে জানিয়েছেন, সেদিন তাঁর হাতে থাকা ওই জিনিসটা আসলে কী? তিনি লিখেছেন, ‘অনেকেই জানতে চেয়েছে যে আমার হাতে থাকা এই জিনিসটা আসলে কী। এটি একটি আকুপ্রেসার রোলার। আমি এটা ব্যবহার করি এবং এর অনেক উপকার আছে।’
আসলে এই আকুপ্রেসার রোলার হল এমন একটি জিনিস যা, নার্ভগুলিকে সচল রাখে ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। হাত ও পায়ের হাজার হাজার নার্ভকে সতেজ রাখে এগুলি। এটি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয় ও শরীর ও মন ভালো রাখে।’
জিংপিং যখন ভারতে ছিলেন, সেইসময় মর্নিং ওয়ার্ক এবং সমুদ্রতীরে আবর্জনা পরিষ্কার করে দিন শুরু করে সেই ভিডিও পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে আবর্জনা সাফাই করেন প্রধানমন্ত্রী।
তামিলনাডুর থানজাভাউর জেলায় মাল্লাপুরম গ্রামের বিচে মোদী কিছুটা হাঁটা ও আবর্জনার পরিষ্কারের পাশাপাশি কিছুটা ব্যায়ামও করেন। টুইটারে ৩ মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আসুন এটা নিশ্চিত করি যে, আমাদের পাবলিক প্লেস হবে পরিষ্কার এবং ঝকঝকে, নিশ্চিত করি আমরা থাকব সুস্থসবল এবং ফিট।” মোদী জানান, তিনি তাঁর সংগ্রহ করা আবর্জনাগুলিকে হোটেল কর্মী জিয়ারাজের হাতে হস্তান্তর করে দিয়েছেন।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর পরণে ছিল একটি সাধারণ টি-শার্ট এবং ট্রাক প্যান্ট। এই পোশাক পরেই নিজের হাতে সমুদ্র তীরে আবর্জনা পরিষ্কার করেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকার ‘স্বচ্ছ ভারত’ মিশন চালু করেছিল। নরেন্দ্র মোদী সহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাকে যে কারণে বারেবারেই ঝাড়ু হাতে দেখা গিয়েছে। তবে শুধুমাত্র আবর্জনা পরিষ্কারই না, দেশের যেসব এলাকায় টয়লেটের ব্যবস্থা নেই, সেখানেও পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার।
একটি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের আওতায় ২০১৯ সালের মার্চ মাস অবধি ভারতের ৯৩ % প্রত্যন্ত এলাকায় টয়লেটের ব্যবস্থা হয়েছে। যে কারণে মোট ৯ কোটি টয়লেট বানানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে শনিবার সকালে ৫৫ মিনিটের বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী ও জি-পিং। সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। এরপর দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ও জিং পিং মধ্যাহ্নভোজ সারবেন বলে জানা গিয়েছে। তারপর নেপালের উদ্দেশ্যে উড়ে যাবেন চিনের রাষ্ট্রপতি।
Be the first to comment