সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়েছিল আসাম। পরিস্থিতি সামলাতে নামাতে হয়েছিল সেনা। তাতেও ঠেকানো যায়নি মৃত্যু। গত ডিসেম্বর মাস থেকে দু’বার ঠিক হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাতিল করতে হয়েছিল সেই রাজ্যের সফর। অবশেষে শুক্রবার আসামে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে পা রেখেই আসামবাসীর ‘বিশ্বাস’ জয়ের চেষ্টা করলেন মোদী।
সিএএ বিরোধীদের কটাক্ষ করে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেশ কয়েকজন নেতা আমাকে লাঠি দিয়ে প্রহারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের বহু মায়ের আর্শীবাদে আমি বেঁচে গিয়েছি। আমি তাঁদেরে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাব। আসামবাসীর ‘বিশ্বাসের’ নতুনস্তর রচনার জন্যই আজ আমি এখানে।’ বড়ো চুক্তি সম্পাদনের পর এদিন বিরাট মিছিল হয়। এই মিছিলকে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দেখা অন্যতম বড় মিছিল বলে সম্বোধন করেন মোদী।
গত মাসেই পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবিতে লড়তে থাকা উগ্রপন্থী সংগঠন এনডিএফবি-র সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করেছে সরকার। আসাম সরকার, কেন্দ্র এবং এনডিএফবির মধ্যে হওয়া ত্রিপাক্ষিক চুক্তিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন সেই চুক্তি উদযাপনেই আসাম গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই চুক্তিকে এদিন ‘ঐতিহাসিক’ বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বড়ো চুক্তির ফলে আন্দোলনকারীদের বহু দাবি পূরণ হবে। শান্তি ফিরবে এলাকায়।’
কয়েক দশক ধরে আসামে সক্রিয় ছিল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বোরোল্যান্ড নামের জঙ্গি গোষ্ঠী। রাইফেল নিয়ে জঙ্গলে থেকে যুদ্ধ করা ১৫০০ জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। চুক্তিতে স্পষ্ট বলা হয়, তারা পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবি থেকে সরে আসছে। এবং সরকারের তরফে বলা হয়, তাদের মূল স্রোতে ফেরাতে বড় পদক্ষেপ করা হবে। কেন্দ্র এবং আসাম সরকার যৌথভাবে স্পষ্ট করে বলে, চুক্তি অনুযায়ী বড়ো উপজাতির উন্নয়নে সরকার ব্যয় করবে ১৫০০ কোটি টাকা।
Be the first to comment