হিমাচলপ্রদেশের রোহতাংয়ে অটল টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ টানেল। অটল টানেলের উদ্বোধনে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান , এতদিনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী-র স্বপ্ন বাস্তবরূপ পেয়েছে। তাঁর নামেই এই টানেলটির নামকরণ করা হয়েছে। এই টানেলটি সীমান্তের পরিকাঠামো অনেক শক্তিশালী করবে। এই বিষয়ে তিনি বলেন , অটল টানেল ভারতের সীমান্তের পরিকাঠামোকে নতুন শক্তি দেবে। এটি বিশ্বমানের সীমান্ত যোগাযোগের মাধ্যম। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই জাতীয় প্রকল্পগুলি হয় পরিকল্পনার পর্যায়ে থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বা মাঝপথে আটকে গিয়েছে।
শুধু তাই নয় , লাদাখের সঙ্গে মানালির যোগাযোগ আরও সুগম হবে বলে মত প্রধানমন্ত্রীর। এই বিষয়ে তিনি বলেন , এই সুড়ঙ্গটি হিমাচলের জন্য কেবল গুরুত্বপূর্ণই নয় , এর সঙ্গে লাদাখের যোগাযোগকে আরও সহজ করে তুলবে। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় বেঁচে যাবে। পাহাড়বাসী এই চার বা পাঁচ ঘণ্টা সময় কমে যাওয়ার তাৎপর্য কতটা তা জানে।
মানালি-লাহুল-স্পিতি পর্যন্ত ৯.০২ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ এই অটল টানেল। এর আগে প্রতিবছর প্রায় ছয় মাস এই রাস্তায় তুষারপাতের কারণে প্রভাব পড়ত। অটল টানেলের সাউথ পোর্টালটি মানালি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে ৩০৬০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। টানেলের নর্থ পোর্টালটি লাহাউল ভ্যালির ৩.০৭১ মিটার উচ্চতায় তেলিং গ্রামের কাছে অবস্থিত। ঘোড়ার ক্ষুরের মতো আকৃতি বিশিষ্ট, একক টিউব, দুই লেনের টানেল এটি। এর মধ্যে আট মিটারের একটি রাস্তা রয়েছে। একদিনে এই টানেলের মধ্যে দিয়ে ৩০০০ গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে।
প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে একদিনে চলাচল করতে পারবে ১৫০০ ট্রাক। ৩০০০ গাড়ি যেতে পারবে। আধুনিক ইলেকট্রোকেমিকাল পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে টানেলটি। থাকছে সেমি ট্রান্সভার্সে ভেন্টিলেশন সিস্টেম, ইলুমিনেশন এবং মনিটরিং সিস্টেম। এই টানেলে সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জরুরি যোগাযোগের জন্য প্রতি ১৫০ মিটারে টেলিফোন সংযোগ , প্রতি ৬০ মিটারে ফায়ার হাইড্র্যান্ট, প্রতি ২৫০ মিটারে CCTV ক্যামেরা থাকবে , কোনও ঘটনা অটোমেটিক শনাক্তকরণ ব্যবস্থা , প্রতি এক কিমি-তে বায়ুর মান নিরীক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা রয়েছে।
Be the first to comment