শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গেলো মোদীর বায়োপিক মুক্তি। প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিক ছবি মুক্তিতে স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিলো সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ এপ্রিল। ফলে পিছিয়ে গেলো মোদীর বায়োপিকের মুক্তি। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল মোদীর বায়োপিকের।
প্রসঙ্গত, মোদীর বায়োপিকের মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস মুখপাত্র আমন পানওয়ার। বুধবার ছবি মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস সেবা দলের প্রেসিডেন্ট যোগেশ যাদব। কিন্তু যোগেশের আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। যেহেতু এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিচারাধীন রয়েছে, তাই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি হাইকোর্ট। রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্টের আবেদনের ভিত্তিতে এই ইস্যুতে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনকে নোটিস জারি করেছে বম্বে হাইকোর্ট।
ছবি মুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিশন ও সিবিএফসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে, ভোটের মুখে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি কোনও ছবি কীভাবে মুক্তি পাবে, সে ব্যাপারে সিনেম্যাটোগ্রাফি আইন মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেন্সর বোর্ডকে। প্রসঙ্গত, ভোটের মুখে মোদীর বায়োপিক মুক্তি পেলে তা ভোটারদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এ অভিযোগ তুলেই মোদীর এই ছবির মুক্তি নিয়ে আপত্তি তোলে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। যতদিন না লোকসভা ভোট শেষ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এ ছবি যাতে মুক্তি না পায়, সে আর্জি জানিয়েছে কংগ্রেস।
Be the first to comment