গত কয়েকমাস ধরে কংগ্রেস অভিযোগ করে আসছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এবার তাদের দিকেই সেই অভিযোগ ঘুরিয়ে দিলেন মোদী। তিনি বলেন, কংগ্রেস গণতন্ত্রের সঙ্গে বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানেরই অমর্যাদা করছে তারা।
বুধবার মোদী দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে তামিলনাড়ুর ভেলোর, কাঞ্চিপুরম, ভিল্লুপুরম এবং চেন্নাইয়ের বুথ স্তরের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই তিনি অভিযোগ করেন, সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে আর্মিকে এবং ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনের অমর্যাদা করেছে কংগ্রেস।
তাঁর কথায়, জরুরি অবস্থার দিনগুলি থেকে কংগ্রেস আরও কূটকৌশলী হয়ে উঠেছে। তারা সেনাবাহিনী, ক্যাগ ও অন্যান্য যে সব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের পক্ষে জরুরি, সকলেরই অসম্মান করেছে। তারা রাফায়েল চুক্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কেও প্রশ্ন তুলেছে। কারণ সেই রায় তাদের পছন্দ হয়নি। কোর্টকে দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো কাজ করাতে পারেনি বলে তারা একসময় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকেও ইমপিচ করতে চেয়েছিল।
কংগ্রেস আগে বেশ কয়েকবার ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্রে গোলমাল থাকার অভিযোগ করেছে। মোদী এদিন পালটা বলেন, প্রতিবার ভোটের সময় কংগ্রেস ভোটযন্ত্র নিয়ে হইচই করে। তারা অনিশ্চয়তার বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু যখন তারা জেতে, তখন ওই যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা রায়কেই মেনে নেয়।
মোদীর মতে, একমাত্র গণতান্ত্রিক পথেই এই ধরণের অগণতান্ত্রিক আচরণের মোকাবিলা করা যেতে পারে। তাঁর কথায়, মানুষের মধ্যে তথ্য প্রচার করা, তাদের সচেতন করে তোলা গণতন্ত্রের পক্ষে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাইকে কংগ্রেস ও তাদের বিপজ্জনক খেলা সম্পর্কে সচেতন করব।
দলের কর্মীদের প্রতি মোদীর আহ্বান, সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করুন। আবাসন, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকার যে কাজ করেছে, সেগুলি সবাইকে বুঝিয়ে বলুন।
পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলের কথা এদিন মোদী উল্লেখ করেননি। কিন্তু পরোক্ষে দলের একেবারে নীচের তোলার কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, সরকার শুধু কাজ করলেই হবে না, সেই কাজের সুফলগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। বিরোধীদের প্রচারের মোকাবিলা করতে হবে। নইলে ভোটে ভালো ফল করা যাবে না।
সেজন্য তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচারে জোর দিতে বলেছেন।
Be the first to comment