দু’দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার দু’দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য বন্দর, জল বণ্টন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, উপকূলে নজরদারি।
শুধু তাই নয়, ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে তিনটি প্রোজেক্টের শিলান্যাসও করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে LPG-এর আমদানি। অন্য দুটি হল -খুলনায় স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ও ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে বিবেকানন্দ ভবন প্রোজেক্ট। যেখানে ১০০ আবাসিক ছাত্র পড়াশোনা করতে পারবেন।
হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদী। তিনি বলেন, “দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এরকম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিশ্বের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে। ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে চারদিনের ভারত সফরে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মাঝেই শনিবার মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার হাসিনা বলেছিলেন, অসমের NRC নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। এর আগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী আমাকে এবিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন এনিয়ে মোদীর সঙ্গে হাসিনার কথা হয়। হাসিনা জানান, NRC নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে চিন্তিত। তাঁকে আশ্বাস দিয়ে মোদী বলেন, আপনারা নির্ভয়ে থাকুন। চিন্তার কিছু নেই।
পিঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়া নিয়েও বাংলাদেশ চিন্তিত। যা নিয়ে শুক্রবার বেশ মজা করে হাসিনা বলেন, আমি রাঁধুনিকে বলেছি, রান্নায় পিঁয়াজ যেন না দেয়। সূত্রের খবর, আজ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
Be the first to comment