ডানলপে জনসভার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার শুরুতেই বললেন, ‘বাংলা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে।’ এদিন বাংলাতেই ভাষণ শুরু করেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নের খতিয়ানও দেন। বলেছেন, ‘রেল, মেট্রো প্রকল্পে সুবিধা হবে বাংলার।’ এদিনের বক্তব্যেও স্বজনপোষণ, কাটমানি, সিন্ডিকেট প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
তৃণমূলকে এদিনও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি, চাকচিক্য বাড়ছে। তোলাবাজ থাকলে, কাটমানি কালচার থাকলে, আইনের শাসন না থাকলে পরিবর্তন হবে না বাংলায়।’ তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলায় বাড়িভাড়া নিতে গেলেও কাটমানি লাগে। সিন্ডিকেটকে টাকা না দিলে তাও পাওয়া যাবে না।’
এদিন তিনি বলেন, ‘সরকারি একাধিক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলা। পরিশ্রুত জলের থেকেও বঞ্চনা করা হয়েছে। এখানে শিল্পের কী অবস্থা তা সকলের জানা। বাংলায় আসল পরিবর্তন দরকার। এই জন্যই বিজেপি-কে আনা দরকার।’ হলদিয়ার মতোই এখানের জনসভায় দাঁড়িয়েও তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘এই সরকারকে মানুষ ক্ষমা করবে না।’ আলু চাষ থেকে আখচাষিদের অবস্থার কথাও প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে ঠাঁই পেয়েছে। বলেছেন, ‘একটা সময় ছিল যখন বাংলার পাট শিল্প গোটা দেশের চাহিদা মেটাত। কিন্তু, সেই শিল্পকেও বাঁচানো যায়নি। কত শত মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর থেকেই পাট শিল্পকে বাঁচাতে নতুন করে উদ্যোগী হয়েছে। হুগলির আলুচাষিদের কী অবস্থা, তাও কারও অজানা নয়। এখানকার আলু ধানচাষিদের কে লুঠ করছে তা আমার থেকে আপনারা ভালো জানেন।’
তাঁর অভিযোগ, ‘বাংলায় বিনিয়োগ করার লোকের অভাব নেই। কিন্তু এখানকার সরকার যে পরিবেশ তৈরি করেছে, যে ভাবে সিন্ডিকেটের হাতে বাংলাকে তুলে দেওয়া হয়েছে, তাতেই কেউ আর উৎসাহ দেখাচ্ছে না।’
সোমবার নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রোরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন মোদী।
Be the first to comment