নরেন্দ্র মোদী সরকারের কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার চার বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আর একবছরের মধ্যেই ফের একবার লোকসভায় অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়তে হবে মোদী ও তাঁর দলকে। ২০১৪ সালে সরকারে আসার পরে দুটি সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ তাঁর সরকার নিয়েছে। তা হল নোট বাতিল ও জিএসটি বলবৎ। দুটি নিয়েই বিপুল আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। তবে কোনওকিছুর তোয়াক্কা না করে মোদী সরকার এগুলি বলবৎ করেছে এবং নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছে। চার বছরের সরকারে মোদী সরকারের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতার মধ্যে কোথাও কোনও ফারাক রয়েছে কি, আসুন দেখে নেওয়া যাক।
নোট বাতিলের ফলে জাল নোটের কারবার ও কালো টাকার অবসান হবে। যার ফলে অসাধু কাজকর্ম আগের চেয়ে অনেক কমে যাবে। এবং ২ হাজার টাকার নোটে বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকবে যার ফলে তা সহজে জাল করা যাবে না।
জাল নোটের সংখ্যা ২০ শতাংশ হারে বেড়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সীমান্ত এলাকার করিডোর ধরে বাংলাদেশ থেকে এদেশে জাল নোট ক্রমাগত সাপ্লাই হয়ে চলেছে।
নোট বাতিলের ফলে আয়করের জমা করায় বৃদ্ধি হবে। অনেক বেশি লোককে আয়করের আওতায় আনা সম্ভব হবে। যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি তরান্বিত হবে।
স্তবতা
২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বিভিন্ন সেক্টরে আর্থিক বৃদ্ধি থমকে গিয়েছে। যার ফলে আরবিআইকে অনেক বেশি টাকা বাজারে ঢালতে হয়েছে। যা অর্থনৈতিক উন্নতির সূচক নয়।
প্রতিশ্রুতি
নোট বাতিলের ফলে নগদ টাকা ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফিরে আসবে। যার ফলে আয়কর দাতাদের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বাড়বে। অন্য নানা খাত থেকে আয়কর আদায় সহজ হবে।
Be the first to comment