বিশেষ সংবাদদাতা,
২০১৭ সালে দু’মাসের বেশি সময় ধরে চলা ডোকলাম ইস্যুর টানাপোড়েনের স্মৃতি এখনও টাটকা৷ এরই মাঝে বৈঠকে বসবেন ভারত চিনের প্রধান৷ চলতি সপ্তাহে দু’দিনের সফরে চিনে পৌঁছে এই বার্তা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই তথ্য সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর মঞ্চে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী৷ অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের বিষয়ে পাকিস্তানকে আশ্বস্ত করেছে চীন। তবে বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড নেই বলে জানানো হয়েছে৷ বরাবরের মতোই এই বিষয় থেকে বিতর্ক এড়াতে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত৷
অন্যদিকে, মোদির সফর নিয়ে ইসলামাবাদে অস্বস্তি রয়েছে বলে খবর প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে চীনের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। গত এক বছর ধরে সীমান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে দালাইলামা পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়ে। তাই সম্পর্কে উষ্ণতা আনতে চীন যাচ্ছেন মোদি। আগামী শুক্র ও শনিবার চীনে শির সঙ্গে তার শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর সেপ্টেম্বরে জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদীর একান্ত সাক্ষাতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ডোকলাম ইস্যু। এবারও ডোকালাম ইস্যু-সহ চিন-ভারত সীমান্তের সম্পর্ক গুরুত্ব পাবে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। তবে কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারত-চিন সীমান্ত সম্পর্কে উন্নতি ঘটাতে চেষ্টা চালাবে দুই দেশই। কারণ, সম্প্রতি বাণিজ্যিক যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে চিনের। একাধিক চিনা পণ্যে বাড়তি আমদানি শুল্ক বসিয়ে চিনকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা পদক্ষেপ করলেও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বড়সড় ক্ষতির মুখে চিন। তাই ভারতের মতো বড় বাজারে আরও বেশি করে বিনিয়োগে আগ্রহী জিনপিংয়ের দেশ, এমনটাই খবর চিনা বিদেশমন্ত্রক সূত্রে।
Be the first to comment