রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পোর্ট ট্রাস্টের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১০ জানুয়ারি কলকাতায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। ১১ জানুয়ারি পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদী।
এদিকে মোদীকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজনে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে যাতে কোনও একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে মরিয়া রাজ্য বিজেপির নেতারা।
নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের এই দুই আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সিএএ ও এনআরসির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে দলীয় কর্মীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলনে নামার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেও কখনও কলকাতায় কখনও বা জেলায় গিয়েও কেন্দ্র-বিরোধী সভা মিছিলে সামিল হচ্ছেন মমতা। একাধিক সভায় নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরোধিতায় মোদী-শাহকে তুলোধনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলকে একজোট হয়ে পথে নামারও বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন মমতা।
এই আবহেই আগামী ১০ জানুয়ারি কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১০ জানুয়ারি বিকেলে কলকাতায় আসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ওই দিন রাতে রাজভবনেই থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরের দিন ১১ জানুয়ারি পোর্ট ট্রাস্টের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিনই তাঁর দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফরের খবরে রীতিমতো উৎসাহিত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে যখন কেন্দ্র বিরোধিতায় পথে নেমেছে বিরোধীরা, ঠিক এই আবহেই সিএএ ও এনআরসির পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সভা করানোর চেষ্টা করছে রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। নরেন্দ্র মোদীর ছোট সফরেও যাতে তাঁকে দিয়ে কোনও সভা করানো যায় তার মরিয়া চেষ্টায় রয়েছেন বিজেপির নেতারা।
তবে সংক্ষিপ্ত এই সরকারি সফরে আদৌ দলীয় কোনও কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে পারেনি রাজ্য বিজেপি। দলের কোনও নেতাই এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
Be the first to comment