ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি জয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দিতে উঠতেই ভেসে এল ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। ভাষণ না দিয়েই পোডিয়াম ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, নেতাজির জন্মদিনকে নিয়ে চূড়ান্ত রাজনীতি করল গেরুয়া শিবির ৷
ভিক্টোরিয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, এটা অসভ্যতার চূড়ান্ত সংস্কৃতির নিদর্শন ৷ বাংলার সংস্কৃতি জানে না বলেই এদের বহিরাগত বলা হয় ৷ তিনি বলেন, একশ্রেনীর চতুষ্পদ যাঁরা নেতাজির জন্মদিনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলেন তাঁরা জানেনই না এদিনটা জয় হিন্দ, জয় নেতাজি বলার দিন ৷ এটা গুটখা কালচার নয়৷ যা ঘটল তা বহিরাগত অপসংস্কৃতির নিকৃষ্ট নিদর্শন৷ আর বহিরাগত তত্ত্বটা অভিধানগত নয়, স্পিরিটগত সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল ৷
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিবস উপলক্ষে ‘পরাক্রম দিবস’–এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই সৃষ্টি হল এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ সবে বক্তব্য শেষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। এর পরের বক্তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। তিনি মঞ্চের চেয়ার ছেড়ে পোডিয়ামের দিকে এগোতেই সামনের সমবেত জনতার একাংশ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করে। যা শুনে দৃশ্যতই বিরক্ত হন মমতা।
মমতা বলেন, আমায় এখানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ করে অসম্মান করাটা শোভনীয় নয়। এর প্রতিবাদে আমি এখানে কিছু বলছি না। শেষে ‘জয় হিন্দ’, ‘জয় বাংলা’ বলে নিজের আসনে গিয়ে বসেন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন এই ঘটনা ঘটছে, তখন সেখানে নীরবে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পরে বলতে উঠে মোদী তাঁর ভাষণ শুরু করেন ‘বহেন মমতা’জি’ বললেও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ না দেওয়া নিয়ে কোনও কথা বলেননি৷
Be the first to comment