রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ হতে দেরি হওয়া নিয়ে বুধবার দুপুর থেকেই জোর আলোচনা বাংলার রাজনীতিতে। এদিন বিকেলেই ফের সেই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্যসভায় এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্দল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। জানতে চেয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কি বাংলা নামে অনুমোদন দিয়েছে? যদি না দিয়ে থাকে তাহলে কেন তা দেওয়া হয়নি? তা বিস্তারিত জানতে চান ঋতব্রত।
কিন্তু কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কোনও অনুমোদন দেয়নি। যেহেতু অনুমোদন দেয়নি, সেহেতু এর মধ্যে বিস্তারিত কিছু জানানোর অবকাশ নেই। এরপরই একাংশের সংবাদমাধ্যমে খবর সম্প্রচারিত হতে থাকে, ‘বাংলা’ নাম খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু বিষয়টা যে তা নয়, সেটা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
বিকেলের চিঠিতে ১১ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত ঘটনাক্রমের উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১১ সালের ১৯ অগস্ট অর্থাৎ মমতা সরকারের বয়স তখন মাত্র তিন মাস, সেই সময়ে একটি সর্বদলীয় সভা হয়। সেখানে ঠিক হয় ইংরাজি এবং বাংলা দুটি ভাষাতেই রাজ্যের নাম হবে পশ্চিমবঙ্গ। ২ সেপ্টম্বর ওই বিল পাশ করা হয় রাজ্য বিধানসভায়। পাঠিয়ে দেওয়া হয় দিল্লিকে। ২০১২ সালের অক্টোবরের শুরুতে দিল্লি জানায় এ ব্যাপারে কোনও অগ্রগতি হয়নি। প্রসঙ্গত এই সময়ে কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার চলছিল।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আজকের চিঠিতে লিখেছেন, ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট রাজ্য বিধানসভায় সংশোধনী পাশ হয়। সেখানে বলা হয় রাজ্যের নাম তিনটি ভাষায় তিন রকম হবে। ইংরাজিতে হবে বেঙ্গল, বাংলায় বলা হবে বাংলা এবং হিন্দিতে বলা হবে বাঙ্গাল। এরপর দিল্লি জানায় একটা রাজ্যের নাম তিনটি ভাষায় তিন রকম হতে পারে না। রাজ্য মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নেয় তিনটি ভাষাতেই রাজ্যের নাম হবে বাংলা। তার ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই বিধানসভায় ফের প্রস্তাব পেশ হয়। পাশও হয় প্রস্তাব। ফের পাঠানো হয় দিল্লিতে।
দেখুন মমতার লেখা চিঠি-
Be the first to comment