ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। প্রয়োজন ভ্যাকসিন। অপ্রতুল জীবনদায়ী ওষুধ। এমত পরিস্থিতিতে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চিঠিতে তিনি তিনটি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে এই মুহূর্তে ৫.৪ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও করোনায় জীবনদায়ী ওষুধ টসিলিজুমাব ও রেমডেসিভিরের অপ্রতুলতা রয়েছে। অন্তত ছয় হাজার রেমডেসিভিরের ভায়াল ও এক হাজার টসিলিজুমাবের ভায়াল কেন্দ্রের কাছে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, নজিরবিহীন ভয়াবহতার চিত্র দেখছে দেশ। রবিবার আড়াই লাখ পার করল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০। মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৫০১ জনের। এদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৩ জন। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ লাখ এক হাজার ৩১৬।
দেশের বর্তমান চিত্র ভাবাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছেন মোদী। ওই বৈঠক চলাকালীন তিনি জানান, এই বছর আরও দ্রুততার সঙ্গে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করবে দেশ। দেশবাসীকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বলেছেন তিনি।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে শনিবার বাংলায় প্রায় পৌনে আট হাজারে পৌঁছেছে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, গত বছর লকডাউনের পরে যে সব বিধি মেনে নাগরিক জীবন চালু হয়েছিল, সেই বিধিগুলি কঠোর ভাবে মানতে হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। কঠোর ভাবে এই বিধি কার্যকর করতে পথে নামবে প্রশাসন।
কিন্তু সরকারি নির্দেশগুলি কী ভাবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে নাগরিক সমাজে। কারণ ভোটের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে করোনা-বিধি ভঙ্গ হলেও কোথাও তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন বা প্রশাসন সে ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি। আরও অন্তত তিন সপ্তাহ রাজ্যে নির্বাচন বিধি জারি থাকবে। তা হলে আর নাগরিকদের বিধি মানতে বাধ্য করা হবে কোন পথে?
Be the first to comment