বছরখানেক বঙ্গ-বিজেপির নেতা-কর্মীদের মধ্য়ে যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছিল, তা এখন অনেকটাই স্তিমিত ৷ বিধানসভা ভোটে আশানুরূপ ফল না হওয়া এবং পরবর্তী উপ-নির্বাচনগুলি ও কলকাতা পৌরনিগমের ভোটে ভরাডুবির জেরে বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীদের মনোবল একেবারে তলানিতে ৷ এই পরিস্থিতিতে দলকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় নেতৃত্ব ৷ তাই আগামী বছরের শুরুতে বঙ্গ সফরে আসছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ৷ মুরলিধর সেন লেন সূত্রে অন্তত এমনটাই খবর ৷
ওই সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৯-১০ জানুয়ারি বাংলায় আসছেন নাড্ডা ৷ তবে তাঁর সফরের আগে চলতি বছরের শেষে বঙ্গে আসবেন বিএল সন্তোষও ৷ তিনি বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)৷ গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক কাঠামোয় নাড্ডার পরই তাঁর গুরুত্ব ৷ তিনি আগামী ২৭ ডিসেম্বর আসছেন বলে জানা গিয়েছে ৷
গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, নাড্ডা বা বিএল সন্তোষ সংগঠনের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করবেন ৷ নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন ৷ আসন্ন পৌর নির্বাচনে দলের কী স্ট্রাটেজি হবে, সেই কথাও বলবেন ৷ এতে সংগঠনের অভ্যন্তরে অনেকটাই কাজ হবে ৷ কলকাতা পৌরনিগমের ভোটে যেমন হত্যোদম অবস্থা ছিল, তার থেকে পরিস্থিতি ভালো হবে ৷
কিন্তু সাধারণ বিজেপি কর্মীরা যাঁরা, তাঁদেরও মনোবল চাঙ্গা করা দরকার ৷ কারণ, অনেকেই ভেবেছিলেন বিজেপি এবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে ৷ তাই বিধানসভা ভোটে বিপুল উৎসাহে কাজ করেছিলেন ৷ কিন্তু পরে তাঁদের অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান ৷ গেরুয়া শিবিরের একটি অংশের বক্তব্য, কেউ হতাশা থেকে নিজেকে আপাতত দূরে সরিয়ে নিয়েছেন ৷ আবার কেউ শাসক দলের চোখরাঙানির জেরে দূরে সরে গিয়েছেন ৷
সেই কারণে আগামী বছরের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রাজ্যে আনার পরিকল্পনা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের ৷ বিজেপির ওই সূত্রের বক্তব্য, মোদি-শাহের বক্তব্যের কর্মীরা আবার নতুন উৎসাহ খুঁজে পাবেন ৷ পৌরভোটে আবার ঝাঁপিয়ে পড়বেন ৷ তাছাড়া রাজ্যজুড়ে সম্পর্ক অভিযানও করবে বিজেপি ৷
এদিকে সামনেই উত্তর প্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ৷ মোদি-শাহকে বারবার ওই রাজ্যগুলিতে প্রচারে যেতে দেখা যাচ্ছে ৷ সেই কর্মসূচি সামলে তাঁরা বাংলার জন্য সময় দিতে পারবেন তো, আপাতত এই প্রশ্নই তুলছে রাজনৈতিক মহল ৷
Be the first to comment