সংসদ হামলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, কী বললেন তিনি?

Spread the love

গত বুধবার গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মুখে পড়েছিল সংসদ। চারদিন পর, এই বিষয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার(১৭ ডিসেম্বর), এই বিষয়ে হিন্দি সংবাদপত্র ‘দৈনিক জাগরণ’-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’ এবং একই সময়ে ‘উদ্বেগজনক’। এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুতর, তাই একে ছোট করে দেখানো উচিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছেন। এই ঘটনার বিষয়ে তর্ক করা বা প্রতিবাদ জানানোর বদলে, ঘটনার গভীরে যাওয়া প্রয়োজনীয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক জাগরণের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “সংদরে ঘটনার গুরুত্বকে মোটেও ছোট করা উচিত নয়। তাই, অধ্যক্ষ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থাগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালাচ্ছে। এর পিছনে কারা রয়েছে, তাদের পরিকল্পনাগুলি কী সেই সব বোঝা এবং এর একটি সমাধান খুঁজে বের করা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সমাধানের খোঁজও খোলা মনে করা উচিত। এই জাতীয় বিষয়ে বিতর্ক বা প্রতিবাদ থেকে প্রত্যেকেরই বিরত থাকা উচিত। এই ঘটনার পর লোকসভার অধ্যক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সবাই নিশ্চিত যে এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হবে।”

১৩ ডিসেম্বর, ২০০১ সালের সংসদ হামলার ২২ তম বার্ষিকীতে, লোকসভার ‘জিরো আওয়ার’ চলাকালীন, দর্শকাসন থেকে সরাসরি লোকসভার কক্ষে ঝাঁপ দিয়েছিলেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামে দুই ব্যক্তি। তারপর তারা দ্রুত অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে এগোতে শুরু করেছিলেন। এরপর, সাংসদরাই তাদের ধরে সংসদের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তার আগেই অবশ্য দুজনেই স্মোক ক্যানিস্টার ফাটিয়ে গোটা লোকসভা কক্ষ হলুদ ধোঁয়ায় ঢেকে দিয়েছিলেন। একই সময়ে, অমল শিন্ডে এবং নীলম দেবী নামে অপর দুই ব্যক্তি সংসদ চত্বরের বাইরে, ‘তানাশাহি নাহি চলেগি’ এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে স্লোগান দিতে দিতে ক্যানিস্টার থেকে রঙিন ধোঁয়া ছেড়েছিলেন। পঞ্চম অভিযুক্ত ললিত ঝা, চত্বরের বাইরে থেকে সেই বিক্ষোভের ভিডিয়ো রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল।

শনিবার, পুলিশ ষষ্ঠ অভিযুক্ত মহেশ কুমাওয়াতকে গ্রেফতার করেছে। তিনিই ললিত ঝা-কে পালাতে সাহায্য করেছিলেন এবং গত দুই বছর ধরে এই হামলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রমাণ লোপাট করতে কুমাওয়াতই অভিযুক্ত সকলের মোবাইল ফোনও পুড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*