করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবরকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার তিনি এই বিষয়ে আলোচনা করতে ফোন করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের। কথা বললেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও নানা রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে। ফোনে তাঁর দীর্ক্ষক্ষণ কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও।
করোনা রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রতিভা পাতিলের সঙ্গে কথা বলেন নমো। পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও এইচডি দেবগৌড়াকে ফোন করেও কথা বলেন মোদী। এ ছাড়াও তিনি ফোনে বহুক্ষণ কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে।
পাশাপাশি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, মুলায়ম সিং যাদব, অখিলেশ যাদব, নবীন পট্টনায়েক, কে চন্দ্রশেখর রাও, এমকে স্তালিন ও প্রকাশ সিং বাদল-সহ নানা নেতাদের ফোন করে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের অন্ধকার থেকে দেশকে আলোর পথে নিয়ে যেতে চান বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই উদ্দেশেই ৫ এপ্রিল রাত নটায় ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালানোর ডাক দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সকাল ৯টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়ায় ভিডিয়ো বার্তায় এই আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার সকালে সেই কথা পুনরায় মনে করিয়ে দিলেন তিনি। ট্যুইটে লিখলেন, ‘রাত ৯টা-৯ মিনিট। মনোবল বাড়াতে পারস্পরিক সৌদার্য্য ছড়িয়ে দিন।’
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের আম জনতাকে রবিবার রাত ৯টা থেকে ৯ মিনিটের জন্য বাড়ির আলো নিভিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ বা মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতে আর্জি জানিয়েছেন। এর ফলে, সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা হঠাৎ অনেকটাই কমে ফের বেড়ে যাওয়ার কথা এবং সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহের গ্রিড কার্যত ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বহু বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ।
Be the first to comment