ছত্তীসগড়ের বস্তারে সোমবার যখন ভোট গ্রহণ চলছে তখন বিলাসপুরে জনসভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং সেই সভা থেকে নাম করে সনিয়া-রাহুলের উদ্দেশে মোদী বলেছিলেন, “মায়ে-পোয়ে টাকা ঘুরিয়েছে আবার আমাকে বলছে! নোটবন্দির ফলে ওদের খুব অসুবিধা হয়ে গেছে। সব টাকা বেরিয়ে গিয়েছে।”
কিন্তু মোদীকে এক তরফা ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দিলেন না কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সন্ধ্যায় টুইট করে রাহুল বলেন, এ যেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। বিলাসপুরের সভায় মোদী বলেছিলেন, “নোটবন্দির ফলে সমস্ত শেল কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”
মোদীর সে কথার প্রসঙ্গ টেনেই রাহুল বলেন, নোটবন্দির মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পর তিনটে শেল কোম্পানির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। একটি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-র ছেলে জয় শাহ-র টেম্পল এন্টারপ্রাইজ। অন্যটি রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের ফ্ল্যাশনেট। এবং সর্বোপরি অনিল আম্বানির রিলায়েন্স এয়ারপোর্ট। আসলে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
প্রসঙ্গত, শেল কোম্পানি হল এমন কিছু সংস্থা যারা প্রকৃতপক্ষে কোনও ব্যবসা করে না, কিন্তু ওই সংস্থার নামে টাকা ঘোরানো হয় বা লেনদেন করা হয়। যার অধিকাংশই বেআইনি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, উনিশের ভোটের লড়াইটার স্বরূপ কেমন হবে ক্রমশ বোঝা যাচ্ছে। রাহুল গান্ধীর লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদীকে প্রকারান্তরে ‘চোর’ প্রতিপন্ন করা। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নই, প্রধান সেবক। দেশের চৌকিদার। ফ্রান্স থেকে যুদ্ধবিমান ‘রাফাল’ কেনার ডিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কংগ্রেস স্লোগান তুলেছে ‘চৌকিদারই চোর হ্যায়।’ বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেসের এই খেলাটা বুঝতে পারছেন। অমিত শাহরা ঠাওর করতে পারছেন যে, রাফাল চুক্তিকে নরেন্দ্র মোদীর বফর্স বানাতে চান রাহুল। তাই রাহুল-সনিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন মোদীও।
এ দিন ছত্তীসগড়ের সভায় মোদী আরও বলেন, “একটা পরিবারের তিনটি প্রজন্ম দেশকে শেষ করে দিয়েছে। দিল্লি থেকে এক টাকা বের হলে জনগণের কাছে পৌঁছোত ১৫ পয়সা। মাঝে ৮৫ পয়সা লুঠ হয়ে যেত। ওঁর (রাহুলের) বাবা যা করবেন বলে ভেবেছিলেন আমরা সেটা চার বছরে করে দেখিয়েছি।”
Be the first to comment