উনি চৌকিদার নন, ভাগীদার। শুক্রবার অনাস্থা বিতর্কে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। তাঁর কথা, তাঁর চোখের দিকে তাকাতে পারছেন না মোদি। মুখে হাসি থাকলেও ভিতরে রয়েছে টেনশন। তিনি একের পর এক আক্রমণ শানান সরকারের বিরুদ্ধে।
বক্তৃতার শেষে রাহুল সোজা চলে যান মোদির কাছে। তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। মোদিও হাত মেলান রাহুলের সঙ্গেও। সংসদীয় ইতিহাসে এমন দৃশ্য এই প্রথম। তার আগে তিনি বলেন, বিজেপি, আরএসএসকে ধন্যবাদ। তারা আমাকে বুঝিয়েছে কংগ্রেস কী, ভারতীয় কারা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর কোনও ক্রোধ নেই। “আপনাদের মনে আমার জন্য ঘৃণা আছে। আপনারা আমাকে পাপ্পু বলেন, বহু গালাগালি করেন। কিন্তু আমার মনে আপনাদের জন্য কোনও ঘৃণা নেই।
বিতর্কিত রাফায়েল চুক্তি নিয়ে তাঁর সরাসরি অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সঙ্গে যুদ্ধবিমানের চুক্তি বাতিল করে অনেক বেশি দামে বরাত দেওয়া হল বিমান তৈরিতে কোনও অভিজ্ঞতা না থাকা এক শিল্পপতিকে, যার সঙ্গে মোদির সম্পর্ক আছে। জিও-র বিজ্ঞাপনে মোদির মুখই তার প্রমাণ। এছাড়া, কালো টাকা উদ্ধার করে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া, বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গও তোলেন তিনি। বলেন, চাকরির বদলে যুবকদের পকোড়া বেচতে বলা হচ্ছে। গত সাত বছরে বেকারি এত বাড়েনি। নোটবন্দি আর জিএসটি করে কোটি মানুষকে দুর্দশার মধ্যে ফেলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শুধু বিদেশেই ঘুরে বেড়ান। তার প্রচারের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। অথচ মোদি যখন এদেসে চিনা প্রেসিডেন্ট্রে সঙ্গে দোলনায় দুলছেন, তখন চিনা সেনা ভারতে ঢুকে বসে আছে। আদিবাসী, সংখ্যালঘু, দলিতদের জন্য মোদির মুখে কোনও কথা নেই। তারা আক্রান্ত। এই আক্রমণ আসলে সংবিধানের, সংসদের ওপর। গণপিটুনি নিয়ে, ধর্ষণ নিয়ে মোদি নীরব।
Be the first to comment