ঠাকুরনগরের মেলায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, দাবি শান্তনু ঠাকুরের

Spread the love

আবারও মতুয়া মন ধরে রাখতে উদ্যোগী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৯ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে ঠাকুরনগরের বারোনি মেলা পুন্যস্নান দিয়ে শুরু হবে এই মেলা। সেই মেলাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে পারেন। সেই মেলাতেই প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বার্তা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেই মেলাতেই থাকতে পারেন জেপি নাড্ডা। ইতিমধ্যেই মেলা উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মতুয়াদের এই মেলায় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে এবার গুরুত্ব দিচ্ছেন, তা আগে হয়নি। শান্তনু ঠাকুর এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপিতে কোণঠাসা। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর মতো ব্যক্তিত্ব যদি এই গুরুত্ব দেন, বর্তমানে যাঁরা রাজ্য বিজেপি চালাচ্ছে, এটা তাঁদের কাছে একটা বিশেষ বার্তা। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, “ইতিমধ্য়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। পিএমও দফতর থেকে এও জানানো হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৯ তারিখ বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ মতুয়া ধর্মমেলাকে সম্বোধিত করবেন। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাতে মানুষ আসতে পারেন তাই প্রধানমন্ত্রী,রেলমন্ত্রী সুবিধা করে দিয়েছেন। এটা মাতুয়া সমাজকে ও ঠাকুরের জন্মদিনে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হয়েছে। আগে তা কখনই করা হয়নি। এটা আমাদের কাছে বড় পাওয়া।”

প্রসঙ্গত, যেদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, সেদিনই তিনি শান্তনু ঠাকুর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “শান্তনু তাঁর লড়াই লড়ছেন। মতুয়া অস্মিতার লড়াই করছেন।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এই লড়াইয়ে এখন অনেকটাই এগিয়ে শান্তনু। সংশোধিক নাগরিকত্ব আইন সিএএ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন শান্তনু। সিএএ বিধি যদিও এখনও চালু হয়নি। আর এই নিয়ে ক্ষোভও জন্মেছে মতুয়াদের। গত কয়েকমাসে শান্তনু ঠাকুরকেও একাধিকবার বিজেপির বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে। তাতে জল্পনাও ছড়িয়েছে প্রচুর।

সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মতুয়া ধর্মমেলায় কেন্দ্রের এই উদ্যোগ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, এই মেলায় অসম, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড থেকেও লোক আসবে। তাই সেক্ষেত্রে রেলের তরফেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*