কাশ্মীর ইস্যুতে তাঁকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবি নস্যাৎ করল বিদেশমন্ত্রক। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। পরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেন।
যৌথ সাংবাদিক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ২ সপ্তাহ আগে আমি মোদীর সঙ্গে ছিলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। উনি আমাকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে বললেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কোথায়? বললেন, কাশ্মীরে। কারণ, এই ইস্যু বছর বছর ধরে চলছে। মোদী কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চান। ইমরানও চায়। আমি যদি কোনও সাহায্য করতে পারি, তাহলে অবশ্যই মধ্যস্থতাকারী হতে রাজি। পরক্ষণেই ইমরান বলেন, যদি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আপনি এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন তাহলে কোটি কোটি মানুষের শুভেচ্ছা আপনার সঙ্গে থাকবে।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পরই প্রতিক্রিয়া দেয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার। তিনি টুইট করে বলেন, এই ধরনের কোনও আবেদন করেননি প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত মাসে জাপানের ওসাকায় G-20 সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী মোদী। ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। যদিও তাঁদের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি।
এদিকে, ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে উদগ্রীব । যদিও বিদেশমন্ত্রক বারবারই জানিয়েছে, প্রথমে দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হবে। তারপর ভারত বন্ধুত্বের বিষয়ে ভেবে দেখবে। দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে ২০১৬এর পর থেকে। সেপ্টেম্বরে উরি সেনাছাউনিতে হামলা চালায় পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। শহিদ হন ১৯ জওয়ান। পাল্টা পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিকাল স্ট্রাইক করে ভারত। এরপর চলতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ের একটি ভ্যানে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা চালায় জইশ। শহিদ হন ৪০ জওয়ান। ১২ দিনের মাথায় (২৬ ফেব্রুয়ারি) এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি।
Be the first to comment