কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তিনি মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী কারণ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমনটাই চান ৷ অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই দাবিকে আগেই নস্যাৎ করেছে ভারত ৷ মঙ্গলবার এই ইস্যুকে ঘিরেই সরগরম হয়ে উঠল সংসদের অধিবেশন ৷ এবার বিরোধীরা বলল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিজে সংসদ কক্ষে এসে জানাতে হবে, তিনি এজাতীয় কোনও কথা বলেননি ট্রাম্পের সঙ্গে ৷
এদিন ট্রাম্পের দাবিকে ঘিরে রাজ্যসভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয় বিরোধীদের তরফে ৷ মোদী সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুলও ওঠে ৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যসভার অধিবেশ চলাকালীন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর আবারও স্পষ্ট করে দেন ভারতের অবস্থান ৷ বিরোধীদের শোরগোলের মাঝেই বক্তব্য রাখেন জয়শংকর ৷ তিনি বলেন, রাজ্যসভার কক্ষে আমি এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই, নরেন্দ্র মোদীর তরফে অ্যামেরিকার কাছে এজাতীয় কোনও অনুরোধ করা হয়নি ৷ কারণ পাকিস্তান সংক্রান্ত সব ইস্যুই দ্বিপাক্ষিক ৷’ পাকিস্তান সীমান্তে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করলে তবেই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসা সম্ভব, এমনটাও বলেন তিনি ৷
ট্রাম্পের মন্তব্যের পরই সোমবার রাতেই কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইট করেছিলেন, ‘ভারত কোনওদিন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা মানেনি। কাশ্মীরে একটি বিদেশি শক্তিকে মধ্যস্থতা করতে বলে প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বার্থকে বলি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। জয়শংকর এর উত্তরে বলেন, সিমলা চুক্তি ও লাহোর চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে যে কোনও আলোচনার পথ সুগম করেছে ৷
কংগ্রেস বিধায়ক আনন্দ শর্মা বলেন, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ৷ আমরা এটা মেনে নিচ্ছি যে পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনওরকম ইস্যুই দ্বিপাক্ষিক চুক্তিরই অন্তর্গত ৷ তবে যেহেতু অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে মোদির এই মধ্যস্থতা করার কথা বলেছেন ৷ সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে উত্তর দিতে হবে ৷
সংসদ কক্ষে এসেই মোদীকে মুখ খুলতে হবে, দিতে হবে বিবৃতি ৷ এই দাবিতে মঙ্গলবার সংসদে সরব হয় বিরোধীরা ৷ বিরোধীদের স্লোগানের মাঝেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু সভা মুলতুবি করে দেন ৷
Be the first to comment