এক শতাব্দীতে কেরলে এত ভয়াবহ বন্যা আর কখনও হয়নি। বন্যাদুর্গত অঞ্চলে শুধু বৃহস্পতিবারেই ১০০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, বন্যায় এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ১৬৪ জন। যদিও সরকারি হিসাবে বলে হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা ৯৭।
এবছর কেরলে বর্ষা এসেছিল ২৮ মে। গত ৮ অগাস্ট থেকে অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। আগামী রবিবার অবধি বৃষ্টি থামবে না বলে জানিয়ে রেখেছেন আবহবিদরা। রাজ্যের ১৪ টি জেলার মধ্যে বন্যার কবলে পড়েছে ১৩ টি। নটি জেলায় জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। পালাক্কার, কান্নুর, ওয়াইনাদ, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম ও ইদ্দুকি জেলায় নেমেছে ধস। কোচি বিমানবন্দরে জল জমেছে। বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ টিম মিলে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে ২ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষকে। তাঁদের রাখা হয়েছে ১৫৬৮ টি ত্রাণশিবিরে। রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা কেরলের দুর্গত অঞ্চলগুলির একটি ম্যাপ তৈরি করেছেন। ত্রাণের কাজে হাত লাগিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও। কেরলের পরিস্থিতি দেখতে আজ যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বন্যার জন্য কেরল রাজ্য সরকার ওনাম উৎসব বাতিল করে দিয়েছে।
Be the first to comment