ভারত-চীন বৈঠক শেষ, নতুন সম্পর্কের সমীকরণে চিন্তায় পাকিস্তান

Spread the love

বিশেষ প্রতিনিধি,

লেকের খোলা হাওয়ায় বহু প্রতিক্ষিত বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রধান শি জিনপিং। বৈঠকের তাগিদটা কিন্তু বেশি নয়াদিল্লির। লোকসভা ভোটের আগে ডোকলামের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে ফের মুখ পোড়াতে চায় না মোদি সরকার। পাশাপাশি বাণিজ্য প্রশ্নে আমেরিকা ও ইউরোপের রক্ষণশীলতায় একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের নতুন দরজা খুলতে পারলে দিল্লির লাভ হবে।

আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চলাকালীন ভারতের বিশাল বাজারকে ধরতে পারাটাও শি জিনপিংয়ের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ছে। ভারত সরকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক না বসিয়েও আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম বাধা তৈরি করছে বলে অভিযোগ বেজিংয়ের। সেক্ষেত্রে চীনের প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টির ওপর জোর দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে যৌথ আর্থিক প্রকল্প গড়তে রাজি হয়েছেন মোদী এবং জিনপিং। জানা গিয়েছে, এ নিয়ে দুই দেশের আধিকারিকরা বৈঠকে বসবেন। কোন-কোন ক্ষেত্রে কাজ হবে, তা পরে চিহ্নিত করা হবে। কিন্তু এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে কি ইসলামাবাদ ঘেঁষা বিদেশনীতি থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে বেজিং? এই প্রশ্নে পাক প্রশাসনের চিন্তা বাড়ার যথেষ্টই কারণ রয়েছে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞ মহলের।

জানা গিয়েছে, কোনও রকমের সমঝোতা কিংবা ঘোষণা না হলেও শি জিনপিং-এর সঙ্গে কৌশলগত সামরিক সম্পর্ক, পর্যটন কিংবা বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই চিন এবং ভারতের। তাই বিশ্বের প্রধান সমস্যাগুলো মেটাতে হলে দুই দেশকে উদ্যোগী হতে হবে।’’জিনপিং বলেন, ‘‘বিশ্বের শান্তি ও সুস্থিতির স্বার্থেই ভারত ও চিনের সম্পর্কে উন্নতি হওয়া দরকার।

বৈঠকের মাঝেই আফগানিস্তানে একটি প্রকল্পে যৌথভাবে তৈরি করার সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। তবে বিনিয়োগের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি বৈঠকে। তবে বলা হয়েছে আফগানিস্তানের পরিকাঠামো ও মানব সম্পদ উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে মতৈক্য হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে সম্ভবত প্রথমবারের মতো তৃতীয় কোনওম্ভবত প্রথমবারের মতো তৃতীয় কোনোবে তৈরি করার দেশে একযোগে কাজের জন্য সম্মত হল এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

তবে প্রতিবেশী আফগানিস্তানে ভারতের উপস্থিতি ভালো চোখে দেখে না পাকিস্তান। কাবুলের সরকারের ওপর নয়া দিল্লির প্রভাব হ্রাস করতে অতীতেও বিভিন্ন শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে ইসলামাবাদ। তাই ভারত চীনের মধ্যে এই বৈঠককে তারা যে ভালোভাবে নিচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*