ড্রাগন ও হাতির একসঙ্গে নাচই সঠিক পথঃ শি জিনপিং

Spread the love

বাড়াতে হবে পারস্পরিক বিশ্বাস ৷ ড্রাগন ও হাতি হাতাহাতি করে নয় হাত মিলিয়ে নাচবে। পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে হবে ৷ ভারত ছাড়ার পর সেই বার্তাই দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

প্রসঙ্গত, দু’দিনের ভারত সফর শেষে ফিরে এক বিবৃতিতে জিনপিং জানান, ভারত ও চিনকে একে অন্যের উন্নয়নের প্রতি একটি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে ৷ পারস্পরিক বিশ্বাস বাড়াতে হবে ৷ দুই দেশেরই একে অন্যের ভালো প্রতিবেশী হওয়া উচিত ৷ যারা মিলেমিশে থাকে এবং হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলে ৷ শি জানিয়েছেন, চিনের ড্রাগন ও ভারতের হাতির একসঙ্গে নাচই দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করার একমাত্র সঠিক পথ ৷ উভয় দেশ ও তাদের মানুষজনের স্বার্থে এই বিষয়টিই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ ড্রাগন ও হাতি হাতাহাতি করে বা যুদ্ধ করে নয় হাতে হাত মিলিয়ে নাচতে পারে। এর মাধ্যমেই দুই দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়ে উঠবে ৷

শি আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে যে পার্থক্য বা ভিন্নতা রয়েছে তা সঠিকভাবে দেখা উচিত ৷ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সামগ্রিক স্বার্থকে দুর্বল হতে দেওয়া যাবে না ৷ পাশাপাশি যে পার্থক্যগুলি বা ভিন্নতা রয়েছে তার সমাধান করতে হবে ৷ ক্রমাগত যোগাযোগের মধ্য দিয়ে বোঝাপড়ায় আসতে হবে ৷ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার প্রশস্ত রাস্তা বের করতে হবে ৷ নিজের উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতের উন্নয়নে আশা রাখছে চিন ৷ পারস্পরিক সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি একে অন্যকে আলোকিত করা উচিত দুই দেশের ৷

তবে আড়ালে থেকে গেল মূল বিষয়টি ৷ কাশ্মীর থেকে ৩৭০ এবং ৩৫ A ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সরব ছিল ইসলামাবাদ ৷ পিছন থেকে তাদের মদত দিচ্ছিল বেজিং। স্বাভাবিকভাবেই চিনা রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংয়ের ভারত সফর ঘিরে বুক বেঁধে ছিল ইমরান খান প্রশাসন ৷ কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জিনপিংয়ের দ্বিতীয় বৈঠকের নির্যাস ইসলামাবাদের পক্ষে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা ৷ মোদী-জিনপিংয়ের দ্বিতীয় বৈঠকে কশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে একটি কথাও আলোচনা হল না ৷ বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, কাশ্মীর প্রসঙ্গটি বাদ দিয়ে মূলত দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়েই আলোচনা হয়৷ দুই প্রতিবেশী দেশ সিদ্ধান্ত নিল, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে। বাণিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার দিকে অঙ্গীকার করল দুই দেশ ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*