ফের ডার্বির রং সবুজ-মেরুন। আটে আট এটিকে মোহনবাগানের। আইএসএল-এর ফিরতি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গল এফসিকে ২-০ গোলে হারাল এটিকে মোহনবাগান। বাগানের হয়ে গোল দুটি করেন স্লাভকো ডামজানোভিচ এবং পেত্রাতোস।
ম্যাচে এদিন শুরুটা ভালোই করে এটিকে মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণে ঝাঁপায় জুয়ান ফেরান্দোর দল। পাল্টা চেপে ধরে ইস্টবেঙ্গল। তবে ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে আশিককে ফাউল করেন লালচুংনুঙ্গা। ফ্রিকিক পায় বাগান ব্রিগেড। তবে সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেনি ফেরান্দোর দল। ফ্রিকিক নেন পেত্রাতোস। পেত্রাতোসের জোরালো ফ্রিকিক অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে চলে যায়। এরপর ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি ভিপি সুহের। মোবাশিরের পাস পেয়েছিলেন সুহের। কিন্তু তা গোল করার আগের মুহূর্তে পা পিছলে পড়ে যান তিনি। এরপর বাগানকে চেপে ধরে লাল-হলুদ। মাঝে মাঝেই প্রতি আক্রমণে উঠে তারা। তবে প্রথমার্ধে আক্রমণে গেলেও প্রথমার্ধে গোলের দরজা খুলতে ব্যর্থ হয় দু’দল। যার ফলে প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে গোলশূন্য।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় বাগান ব্রিগেড। যার ফলে ম্যাচের ৫২ একটি সহয সুযোগ পেয়ে যায় ফেরান্দোর দল। আশিক বাঁ দিক থেকে পাস বাড়িয়েছিলেন পেত্রাতোসকে। তাঁর শট বার ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপায় লাল-হলুদ। ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় সুযোগ তৈরি করে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দল। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় জ্যাক জার্ভিস। এরপরই পাল্টা আক্রমণ চালায় ফেরান্দোর দল। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে এগিয়ে যায় বাগান ব্রিগেড। বাগানকে গোল করে এগিয়ে দেন স্লাভকো ডামজানোভিচ। সেই ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের ভুল। বাঁকানো কর্নার করেছিলেন পেত্রাতোস। মনবীর সিং ব্যাক হিল করে গোলের দিকে পাঠান। স্লাভকোর হেড প্রথমে বারে লাগে। এরপর ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন সেই তিনিই। গোল খাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় স্টিফেনর দল। তবে গোলের দরজা খুলতে ব্যর্থ হয় লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে এরই মধ্যে দুটো পরিবর্তন করেন ফেরান্দো। বাগান কোচ নামান লিস্টন কোলাসো এবং কিয়ান নাসরিকে। এরপরই ম্যাচে আবার গোল পায় বাগান ব্রিগেড। ম্যাচের শেষ লগ্নে গোল করে বাগানকে ২-০ এগিয়ে দেন পেত্রাতোস। ম্যাচে এদিন ৯০ মিনিট মাঠে খেললেন হুগো বৌমোস।
এদিক আজ মাঠে ‘বয়কট ডার্বি’র প্রভাব পরল।স্টেডিয়ামে যে গুটিকয়েক সমর্থক চোখে পড়ছে, সবই মোহনবাগান গ্যালারিতে। লাল হলুদ গ্যালারিতে হাজার সাতেক দর্শক হয়েছে। দলের পারফরম্যান্স এবং ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন কর্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভের জন্য ডার্বি বয়কটের ডাক দিয়েছিল লাল হলুদ সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই প্রচারও চলে। স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের একাধিক অনুরোধও ইস্টবেঙ্গল জনতার মন গলাতে পারল না এদিন।
Be the first to comment