বুধবার বিকেলেই মোহনবাগান ক্লাবে নতুন কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে নতুন সভাপতি নির্বাচন করার কথা ছিল। কিন্তু নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে পারেন নি বাগান কর্তারা। ফলে মোহনবাগান ক্লাবের নতুন সভাপতি কে হবে তা ঝুলেই রইলো। তবে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও মুখপাত্র কুনাল ঘোষকে মোহনবাগান ক্লাবের সহ-সভাপতি হিসেবে বেছে নিলেন ক্লাবের নতুন কর্মসমিতি। মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন আগামী দিনে কর্মসমিতির দ্বিতীয় বৈঠকে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। সূত্রের খবর নতুন সভাপতি হওয়ার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসছে। তবে দুজনের মধ্যে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় একটু হলেও এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
তবে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর মোহনবাগানের কোনও পদেই নেই টুটু বসু ও তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য। বহুদিন ধরে বসু পরিবারের সঙ্গে মোহনবাগানের সম্পর্ক। সচিব থাকার পাশাপাশি টুটু বসু, সৃঞ্জয় বসুরা ক্লাবের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। কিন্তু কী এমন হল যাতে সেই ভূমিকায় আর দেখা যাচ্ছে না তাঁদের? সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দেবাশিস দত্তের দাবি, ‘টুটু বসু আমায় ফোন করেছিলেন, উনি আমাকে তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী বলে মনে করেন। আমাকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন টুটু বাবু। তবে এই বিষয়ে টুটু বসু বা সৃঞ্জয় বসুর থেকে এখনও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
তবে সভাপতির নাম নির্বাচন করা না হলেও চার সহ-সভাপতিকে বেছে নিয়েছেন কর্মসমিতির সদস্যরা। ছয় সহ-সভাপতির মধ্যে আপাতত যে চারজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী ও মন্ত্রী। এঁরা হলেন অরূপ রায়, মলয় ঘটক ও কুনাল ঘোষ। চতুর্থ জন হলেন অসিত চট্টোপাধ্যায়। বাকি দুই সহ সভাপতির নাম শীঘ্রই জানানো হবে জানান হয়েছে।
তবে বুধবারের বৈঠক শেষে ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, মোহনবাগান সভাপতির পদটা এতটাই বড় যে, এই পদে বসতে গেলে সমাজের সব স্তরে গ্রহণযোগ্যতা থাকাটা খুব জরুরি। আমরা পরের কর্মসমিতির বৈঠকে বসার আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই সভাপতির নাম ঘোষণা করে দেব।
তিনি আরও বলেন,‘যারা যে পদে এসেছেন,তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের যোগ্যতায় এসেছেন। নেতা, মন্ত্রী বলেই পদে এসেছেন সেটা ঠিক নয়। যে চারজন সহসভাপতি পদে এলেন তারা আগেও এই পদে ছিলেন। নতুন এই পদে এলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা বিশিষ্ট সাংবাদিক কুনাল ঘোষ। মোহনবাগান ক্লাবে রাজনীতিকরণ হবে না।
এর আগে অরূপ রায় সবুজ-মেরুন ক্লাবে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন। তাঁকে রেখে দেওয়া হল সেই পদেই। রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে সহ-সভাপতি হিসেবে একই পদে এসেছেন অসিত চট্টোপাধ্যায়ও। তবে চমক তৃণমূলের মুখপাত্র এবং তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষের মোহনবাগানে সহ-সভাপতিত্ব প্রাপ্তিতে।
প্রাথমিক ভাবে খবর ছিল অরূপকে সভাপতির পদে বসাতে উদ্যোগী হয়েছেন দেবাশিস। কিন্তু সমর্থক মহলে তার প্রতিক্রিয়া এবং টুটু বসুর চেয়ারে রাজ্যের মন্ত্রীকে বসালে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে সমর্থক মহলে, এই সংক্রান্ত একাধিক কথা মাথায় রেখেই হয়তো সহ সভাপতির পদে রেখে দেওয়া হল অরূপকে, মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অদূর অভিষ্যতে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। টুটু বসু-ই সেই পদে থাকবেন নাকি অন্য কোনও বড় মাথাকে ধরে এনে ওই পদে বসান দেবাশিস-বাবুন’রা সেটাই দেখার। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই পুরোটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তবে এদিন কুনাল ঘোষ সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ক্লাবের নতুন কমিটি এটিকের সঙ্গে ক্লাবের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবে। আজকে ভাইস প্রেসিডেট হিসাবে আমার নাম ঘোষিত হয়েছে। তবে দু-দিন আগেও পোস্ট করেছি। নতুন কমিটির উচিত এই চুক্তি খতিয়ে দেখা। জানি না, আগের কমিটি কী চুক্তি করেছে এবং সেই চুক্তির আইনি বিষয় কী কী রয়েছে! কিন্তু এই আবেগে যেটা আঘাত লাগছে সেটার যাতে সমাধান হয়, মোহনবাগান ক্লাবের আগে অন্য কোনও ক্লাবের যাতে নাম না থাকে, তার জন্য যাতে নতুন সচিব, নতুন কমিটি উদ্যোগী হয়, সেই বিষয়ে নিশ্চিতভাবেই আমার ইচ্ছা, দায়িত্ববোধ, কর্তব্যবোধ থাকবে।
প্রাথমিক ভাবে খবর ছিল মন্ত্রী অরূপ রায়কে সভাপতির পদে বসাতে উদ্যোগী হন দেবাশিস। কিন্তু সমর্থক মহলে তার প্রতিক্রিয়া এবং টুটু বসুর চেয়ারে রাজ্যের মন্ত্রীকে বসালে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে সমর্থক মহলে, এই সংক্রান্ত একাধিক কথা মাথায় রেখেই হয়তো সহ সভাপতির পদে রেখে দেওয়া হলো অরূপকে, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অদূর অভিষ্যতে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে। টুটু বসু-ই সেই পদে থাকবেন নাকি অন্য কোনও বড় মাথাকে ধরে এনে ওই পদে বসান দেবাশিস-বাবুন’রা সেটাই দেখার। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই পুরোটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
Be the first to comment