“বদনাম করার জন্যই এমন হানা।” বুধবার সকাল থেকে আসানসোল এবং কলকাতা জুড়ে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই-এর অভিযান প্রসঙ্গে এই ভাষাতেই মন্তব্য করলেন মলয় ঘটক। সিবিআই তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মলয় ঘটক বলেন, “সমস্ত ফাইল তাঁরা দেখেছেন। সাত ঘণ্টা ধরে। আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বৈঠক ছিল, সেই বৈঠকেও যেতে পারলাম না। আমার একটাই বক্তব্য, কাউকে বদনাম করার জন্য এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে। যে ধরনের ঘটনা ঘটছে, তার একমাত্র উদ্দেশ্য বদনাম করা।”
মন্ত্রীর বাড়ির থেকে কী কী নিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মলয় বাবু বলেন, “এখানে আমার যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিধায়ক ও মন্ত্রী হিসেবে টাকা জমা হয়, আমার আয়করের রিটার্ন দেব বলে গত এক বছরেরটা আমি তুলে রেখেছিলাম। সেটা নিয়ে গিয়েছে। আর ১৪ হাজার টাকা নগদ এখনও আমার পকেটে আছে। গোণার পর ওনারা বললেন, এটা আমরা বাজেয়াপ্ত করছি না। আমার তিনটি ফোন নিয়ে গিয়েছেন, সিমগুলি দিয়ে গিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “আমি যেখানে থাকি, সেটি সরকারি আবাসন। আমার ভাই যেখানে থাকেন সেটি পৈত্রিক বাড়ি। ১০০ বছরেও বেশি পুরনো। আমাদের দাদু করে গিয়েছিলেন। সেখানে আমাদের পিসি, কাকা সবার শরিকি ভাগ আছে। আমার লেক গার্ডেন্সের বাড়ি ৮৮ লাখ টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে কেনা হয়েছে।”
এর আগেও একাধিকবার মলয় ঘটককে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। সেই প্রসঙ্গে মলয় বাবুর বক্তব্য, তাঁকে যখন ডাকা হয়েছিল, তখন একবার আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনের আগে, একবার আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনের আগে ডাকা হয়েছিল। আর একবার যে নথিগুলি নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল, সেই নথির তালিকা ফাঁকা ছিল বলে দাবি মন্ত্রীর। সঙ্গে তিনি এও স্পষ্ট করে দেন, যতবার তাঁকে ডাকা হয়েছিল, তিনি তার জবাবও দিয়েছেন। নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর যাতে তাঁকে ডাকা হয়, সেই কথাও চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন বলে দাবি মন্ত্রীর।
১৪ সেপ্টেম্বর মলয় বাবুকে ডাকা হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সেই সংক্রান্ত কোনও চিঠি বা মেল তিনি পাননি। রাজনৈতিক কারণে, তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে বলেও দাবি মন্ত্রীর।
Be the first to comment