প্রথমে ছিল শুকর, এবার বাঁদর। তবে একটি বা দুটি নয় অসমে একসঙ্গে তেরোটি বাঁদর মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। আতঙ্ক বাড়ছে একের পর এক এমন ঘটনায়। করোনা ভাইরাস যখন মানুষের মনে প্রথম জায়গা করতে শুরু করে, চিনের উহান প্রদেশ থেকে বাদুড়ের হাত ধরেই তা ছড়িয়েছে সেরকমই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল। সেইসময় থেকেই একের পর এক মৃত্যু মানুষকে আতঙ্কিত করছে।
রাজ্যের কাছার জেলায়, শিলচর সাবডিভিশনের পাবলিক হেলথ ডিভিশনের ডিপার্টমেন্টে কাটিরেল জল সরবরাহকারি প্ল্যান্টের একটি জলের রিসার্ভারে একসঙ্গে ১৩টি বাঁদর মরে গিয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন একজন আধিকারিক।
আরও জানানো হয়েছে, ওই বাঁদরের দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট না এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই জলে বিষাক্ত কিছু মেশানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, একদিকে যখন দেশ করোনা মোকাবিলায় তৎপর, তখন দেশে থাবা বসাচ্ছে সোয়াইন ফিভার। কেন্দ্রস্থলে পরিণত হচ্ছে অসম। সেখানে ইতিমধ্যে প্রায় ২৮০০ শুকর মারা গেছে।
অসম দাবি করছে, এই ভাইরাসটিও করোনার মতো চিন থেকে এসেছে। যদিও অসম সরকার এবিষয়য়ে এখনও প্রমান পায়নি। পরিসংখ্যান বলছে ২০১৮ থেকে ২০২০ এর মধ্যে মোট ৬০ শতাংশ শূকর মারা গিয়েছে এই ভাইরাসের কারণে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল শূকর রক্ষার্থে বন বিভাগগুলিকে ন্যাশনাল পিজ রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করতে বলেছেন। ইতিমধ্যেই অসম ও অরুণাচল প্রদেশের তরফ থেকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে শূকরের মাংস আমদানি-রফতানি তথা শূকর মারার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তবে এখানেই শেষ নয় শেষ কিছুদিনে উত্তরপ্রদেশে একগুচ্ছ বাদুড়ের মৃত্যু নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল বাদুড় থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। সবমিলিয়ে ঘটনার পুনরাবৃত্তি ভয় ছড়াচ্ছে।
একই ঘটনা দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশেও। বাদুড়ের হঠাত মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দ্রুত। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অসহ্য গরমের জন্যই এমন ঘটনা ঘটছে।
Be the first to comment