বিশেষ সংবাদদাতা –
২০১৮ সালে ৯৭ শতাংশ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জুন এবং জুলাইয়ে বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে বেশি৷ অন্যদিকে অগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি হতে পারে তুলনায় কম। সাধারণত ৯৬ শতাংশের কম বৃষ্টি হলে তাকে ঘাটতি বৃষ্টি বলা হয়। ১০৪ শতাংশ বৃষ্টিপাতের অর্থ অতিবৃষ্টি। ঘাটতি বা অতি বৃষ্টি হলে তা ভারতের মতো কৃষি নির্ভর দেশের পক্ষে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
তবে এই খবর যে দেশের জন্য স্বস্তির, তা বলাই বাহুল্য৷ এবছর বর্ষায় গড়পড়তা ৯৭ শতাংশ বৃষ্টি পাবে দেশ। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাব শক্তিশালী থাকবে বলেই এই পরিমাণ বৃষ্টি হবে৷ এটা স্বাভাবিক বর্ষা। মৌসম ভবনের এই ঘোষণার পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরাও। স্বাভাবিক বর্ষার অর্থ ফলন ভালো হওয়া। ফলন ভালো হলে অর্থনীতির বাজারে জোয়ার আসবে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মৌসম ভবনের অধিকর্তা কে জে রমেশ জানিয়েছেন, এবছর বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকই হবে। দেশে গড় বৃষ্টির পরিমাণ হবে ৯৬ থেকে ১০৪।
কিন্তু বর্ষা আসবে কবে? মৌসম ভবনের অধিকর্তা বলেন, আগামী ১৫ মে থেকে বর্ষা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত এবার তৃতীয়বার স্বাভাবিক বর্ষার সাফল্য পাবে।’
এমনিতেই মহারাষ্ট্র সহ–অন্যান্য রাজ্যে কৃষক আন্দোলন মোদি সরকারের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। সেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের সাফল্য তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Be the first to comment