এই গ্রামে কোনও শিশু জন্মায় না !

Spread the love

বিশেষ প্রতিনিধি,

মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার শঙ্ক শ্যামজী গ্রাম৷ অদ্ভুত এক অন্ধবিশ্বাসের চাদর রয়েছে এখানে৷ জানেন কি, এই অন্ধবিশ্বাসের ফলে কোন অদ্ভুত ধারণা বহন করে চলেছেন এখানকার মানুষজন? এই গ্রামের কোনও মহিলা গর্ভবতী হলে, তাকে সঙ্গে সঙ্গে পাশের গ্রাম বা অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়৷ কারণ এই গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করেন গ্রামের মাটিতে অভিশাপ রয়েছে৷

তাই এই গ্রামের মানুষ সন্তানসম্ভবা গ্রামের মহিলাদের গ্রামের চৌহদ্দিতে থাকতে দেয়না৷ সন্তানের জন্ম হওয়ার পর সেই মহিলা গ্রামে প্রবেশের অনুমতি পায়৷ ঠিক এইভাবে গত চারশো বছর ধরে কোনও শিশুর জন্ম হয়নি এই গ্রামে৷ কোনও সদ্যোজাতের মুখ দেখেনি এই গ্রাম, গত ৪০০ বছর ধরে৷ ষোড়শ শতক থেকে চলে আসছে এই ট্র্যাডিশন৷

কিন্তু কেন এই ভয়ঙ্কর অন্ধ বিশ্বাস? স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন এই গ্রামের মধ্যে কোনও শিশুর জন্ম হলেই সেই শিশুর মৃত্যু হয়, নতুবা তার মায়ের মৃত্যু ঘটে৷ এমনকি বিকলাঙ্গ শিশুরও জন্ম হতে পারে এই গ্রামে প্রসব করলে৷

এই ঘটনার পিছনে একটি গল্পও প্রচলিত রয়েছে৷ স্থানীয়দের ধারণা ওই গ্রামে ভগবানের মন্দির বানানোর সময় এক মহিলার কাজে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়৷ মহিলাটি গম পেষাই করছিলেন, সেই শব্দে মন্দিরের কাজ আটকে যায় কোনও কারণে৷ সেই সময় ক্রুদ্ধ দেবতা নাকি এই গ্রামেকে অভিশাপ দেন!

তখন থেকেই কোনও শিশু এই গ্রামে জন্মায় না৷ প্রসবের জন্য একটি পৃথক ঘর গ্রামের ঠিক বাইরে নির্মাণ করা হয়েছে৷ সেখানেই সন্তানের জন্ম দেন মায়েরা৷ গ্রামের সরপঞ্চ নরেন্দ্র গুর্জর বলেন ৯০ শতাংশ প্রসবই হাসপাতালে হয়৷ তবে আপদকালীন ক্ষেত্রে এই ঘর ব্যবহার করা হয়৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*