জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল পেশকে ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’ বললেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ৷ সোমবার রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ যার ফলে বিশেষ মর্যাদা হারাতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীর। সেই সঙ্গে লাদাখ ও কাশ্মীরকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও জম্মুকে আলাদা রাজ্য হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাবও দেওয়া হয় ৷
এরপরই টুইট করেন মেহবুবা মুফতি ৷ তিনি লেখেন, ৩৭০ ধারা বিলোপ অসাংবিধানিক ও বেআইনি ৷ রাজ্যের মানুষকে ভয় দেখিয়ে জম্মু-কাশ্মীর দখল করতে চায় কেন্দ্র ৷ নতুন ভারতে ধর্মের নাম গণহত্যা চলছে ৷ মানুষের কথা বলতে গিয়ে আমাকে যদি বিচ্ছিন্নতাবাদী, রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হয়, তাহলে গর্বের সঙ্গে সেই তকমা আমি গ্রহণ করব ৷ এছাড়াও নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের একাংশকে একহাত নিয়ে তিনি লেখেন, এই ধারা রদ নিয়ে উল্লাস নিন্দনীয় ৷ কাশ্মীরকে যে কথা দিয়েছিল তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত ৷
ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন ৷ বলেন, সংবিধানের জন্য এই সিদ্ধান্ত ভীষণ বিপদজনক ৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ যার পরিণাম ভয়ঙ্কর হতে পারে ৷
অন্যদিকে, এই নিয়ে টুইট করেন অরুণ জেটলিও ৷ তিনি লেখেন, ৩৭০ ধারা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত জাতীয় সংহতির ক্ষেত্রে স্মরণীয় ৷ এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ৷ এই সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে ৷ ওখানে আরও বিনিয়োগ, শিল্প, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে ৷ আরও বেশি করে কর্মসংস্থান গড়ে উঠবে ৷ মানুষের উপার্জন বাড়বে । পৃথক মর্যদা একটি রাজ্যকে বিচ্ছিন্নতাবাদের দিকে পরিচালিত করে । কোনও গতিশীল জাতি এই পরিস্থিতি অব্যাহত রাখতে দেয় না ।
Be the first to comment