বিহারের মুজফফরপুরে রাজ্য সরকার পরিচালিত একটি আশ্রমের মাটি খুঁড়তে শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগ, একটি নাবালিকাকে খুন করে তার দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছে আশ্রম চত্বরেই। এবছরের শুরুতে ওই আশ্রমেই ধর্ষিতা হন ২০ জন নাবালিকা। তাদেরই একজন পুলিশকে জানায় দেহ পুঁতে দেওয়ার ঘটনা। ওই হোমের কর্মীদের সঙ্গে ঝগড়া করায় তাকে খুন করা হয়েছে। রাজ্য সরকারি আশ্রমে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে জেলা প্রশাসনের এক অফিসারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ঘটনায় রীতিমতো চাপে নীতীশ কুমারের সরকার। বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব হোমের আশ্রিতাদের রক্ষা করায় সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর অভিযোগ, অন্তত ৪০ জনকে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে। জোর করে গর্ভপাত করানো হয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু বিষয়টি ধামাচাপার জন্য জোরকদমে কাজ করা হচ্ছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর ২১ জনের ধর্ষণ প্রমাণিত হয়েছে। টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সেসের একটি টিম ওই নাবালিকাদের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সরাকারের সমাজকল্যাণ দফতর এফআইআর করে। পুলিশ জানাচ্ছে, সবমিলিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এ পর্যন্ত। ওই হোমে থাকত ৪৪ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে মধুবনী, ১৪ জনকে মোকামা ও ১৬ জনকে পাটনার হোমে বদলি করা হয়েছে।
Be the first to comment