দিল্লি থেকে খালি হাতে ফিরলেন ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার মুক্তিকান্ত বিসওয়াল। ৩০ বছরের এই যুবক পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। উদ্দেশ্য ছিল চারবছর আগের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া। ইস্পাতনগর জেনারেল হাসপাতালের আধুনিকীকরণের কথা দিয়েছিলেন মোদি। সেটাও আবার নির্বাচনী প্রচারে এসে। পরের নির্বাচনের সময় এগিয়ে এসেছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি এক ফোঁটাও। ৭১ দিন পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছিলেন ১৫০০ কিলোমিটার পথ। আসলে বলা উচিত ১৭৫০ কিলোমিটার পথ। কারণ বারাণসীর কিছু বাসিন্দাদের ভুল দিক নির্দেশনায় ২৫০ কিলোমিটার উপরিপাওনা জুটেছিল। কিন্তু কেন এই পায়ে হেঁটে যাওয়া? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এটাও এক ধরনের প্রতিবাদ। সাধারণভাবে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব ছিল না। তাই পায়ে হেঁটে এসে এই অভিনব প্রতিবাদ। অন্তত এভাবে যদি বিষয়টি চোখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর! বিসওয়াল আরও জানায়, যাদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা তাঁদের পরিজনদের কটক কিংবা ভুবনেশ্বরে ভালো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারেন।
কিন্তু অধিকাংশ সুন্দরগড় জেলার অধিবাসীদের একমাত্র ভরসা ওই ইস্পাত নগর জেনারেল হাসপাতাল। কিন্তু কোনও পরিকাঠামোই নেই সেখানে। ‘কিন্তু এটার উপর নির্ভর করেই বেঁচে আছি আমরা’, সাফ জবাব তাঁর। যদিও এই যাত্রায় তাঁর পরিকল্পনা সার্থক হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়নি বিসওয়ালের। প্রথমে রাজপথ ও পড়ে রামলীলা ময়দানে একাই ধর্নায় বসেন মুক্তিকান্ত। কিন্তু সেখানেও পুলিশি বাঁধা। দুদিন ধর্নার পরেই পুলিশ একরকম জোর করে তাঁকে দিল্লির একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। একটু সুস্থ হলেই ধরে বেঁধে ওড়িশায় ফেরত পাঠানো হয়। তবে এখনই হার মানতে নারাজ সে। তাঁর মতে, ‘আগেরবার কিছু ভুল করেছিলাম। একাই পথে নেমেছিলাম। আবার যাব দিল্লিতে।
Be the first to comment