তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক নেতা। তবে মুকুল রায়ই দিল্লিতে দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেওয়া তো দূর, একেবারে কলকাতায় ফিরে এলেন। যা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
যদিও এদিন কলকাতা ফিরে আসার পর মুকুল রায় বলেন, ‘চার-পাঁচদিন ধরে বৈঠক হবে, এটা আমি জানতাম না। আমার রেটিনার সমস্যা রয়েছে। একটা ইনজেকশন নিতে হবে। সেই ডেট ঠিক করা ছিল আগেই। তাই আমাকে ফিরে আসতে হল। এর মধ্যে কোনও গুঞ্জন নেই।
সেইসঙ্গেই অবশ্য বিতর্ক ধামাচাপা দিতে মুকুল রায়ের বক্তব্য, ‘আর ৯ মাস পর নির্বাচন। দল আমাকে যা দায়িত্ব দেবে, আমি তা পালন করব। বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতা দখল করবে।
উল্লেখ্য, বাংলা দখলের রূপরেখা তৈরি করতে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ৷ ঠিক কী ভাবে এই জনসংযোগ করা হবে, রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণের পন্থা কী হবে, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা হবে কী উপায়ে- এই সব নিয়েই প্রায় পাঁচ দিন ধরে বৈঠক হচ্ছে দিল্লিতে। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সব প্রথম সারির নেতা উপস্থিত রয়েছেন৷ কিন্তু দিল্লিতে থাকা সত্বেও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যোগ দেননি মুকুল রায়। কিন্তু কেন?
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বাড়িতে বৈঠক হয়েছিল একপ্রস্থ। সেখানে আগামী বিধানসভা ভোটে দলের ফল কী হতে পারে, তার একটি সম্ভাব্য চিত্র তুলে ধরা হয়। সেখানে বিজেপি জয়ী আসন হিসেবে যে সংখ্যা দেখানো হয়, পোড়খাওয়া রাজনীতিক মুকুল বাস্তবিকতার দিক থেকে তা মানতে পারেননি।
এরপর থেকেই তিনি বৈঠক এড়িয়ে চলেন বলে গুঞ্জন। যদিও তা অস্বীকার করেছেন মুকুল রায়। এদিনও তিনি নিজের ‘চোখের সমস্যা’কেই হাতিয়ার করেছেন। তাতে অবশ্য গুঞ্জন খুব একটা থামছে না।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য রাখঢাক না করেই বলেন, ‘আমাদের ডাকা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ডেকেছেন। তাঁরাই সকলকে ডেকে পাঠিয়েছেন। কতদিন বৈঠক হবে, কী আলোচনা হবে, তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই বলতে পারবেন। উনি (মুকুল রায়) করোনার জন্য একটু দূরে দূরে আছেন। বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দিল্লিতে গিয়ে ওই বৈঠকে যোগ দিতে আন্তরিক ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু দিল্লির করোনা-পরিস্থিতির কথা ভেবে সেই বৈঠকে যাননি তিনি। এমনকী ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা, তাও এখনও স্পষ্ট নয়।
Be the first to comment