নয় বছর আগে লাভপুরে তিন ভাইকে পিটিয়ে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। মুকুল রায়কে আগামী পাঁচ সপ্তাহ গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর বোলপুর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও মণিরুল শেখের নামে। যার জেরে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন মুকুল রায়। যদিও তা খারিজ করে দিয়েছিল আদালত।
যারপরই মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিলে, আগামী ৫ সপ্তাহের জন্য বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা যাবে না। শাপাপাশি এই সময়ের মধ্যে মুকুল রায় লাভপুর, বোলপুর থানা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। যদিও পলিশ তাঁকে ডাকলে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। বর্ষ শেষের ছুটির চার সপ্তাহ পরে ফের মামলার শুনানি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। এর আগে, কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তে নেমে চূড়ান্ত গোপনীয়তায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় বীরভূম পুলিশ। সেই চার্জশিটে উল্লেখযোগ্য ভাবেই মুকুল রায় ও মণিরুল শেখের নাম উঠে আসে।
প্রসঙ্গত, লাভপুর বুনিয়াডাঙায় ময়ূরাক্ষী নদীর বালিরঘাটের দখলদারি নিয়ে জেরিনা বিবির দশ ছেলের সঙ্গে ঝামেলা হয় তৎকালীন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা মণিরুলের। জেরিনার ছেলেরা তখন সিপিএম সমর্থক। ২০১০ সালের ৩ জুন বিকেলে লাভপুরে নিজের বাড়ির উঠানে সালিশি সভা ডেকেছিলেন মণিরুল। অভিযোগ, সালিশি সভা চলাকালীন উত্তপ্ত বচসা থেকে হাতাহাতি হয়। সেই সময় জেরিনার তিন ছেলে কটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে মণিরুল ও দলবলের বিরুদ্ধে। কিছু দিন পরেই তৃণমূলে যোগ দান করেন তিনি। বিধায়কও হন।
Be the first to comment