পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলো বিজেপি ৷ বৃহস্পতিবার কমিশনের দফতরে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায় ৷ মুকুল রায়ের বক্তব্য, ৩০ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা চলবে ৷ পরীক্ষার সময় প্রচার করা হবে না ৷ তাই পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে দিন ঠিক করা হোক ৷
অন্যদিকে, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট ধরে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ার, তিন জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। কলকাতার ভোটের নোডাল অফিসার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক।
সূত্রের খবর, ১২ এপ্রিল এই দুই কর্পোরেশনে ভোট করতে চায় সরকার। যদিও, দিনের শেষে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ভোটের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত নয়। কমিশন ভোট নিয়ে এখনও জানতে চায়নি। কমিশন চিঠি দিলে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিশনকে জানাবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে মোট ১১২ টি মেয়াদ উত্তীর্ন পুরসভায় ভোট চেয়ে রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু দফায় ভোট করতে চায় রাজ্য। এপ্রিলের মাঝামাঝি প্রথমে কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের ভোট করে, এপ্রিলের শেষাশেষি রমজান মাস শুরুর আগে দ্বিতীয় দফায় ১১২টি পুরসভা ও ৪ কর্পোরেশনে ভোট করতে চায় সরকার। রাজ্য যে সব পুরসভার সীমানা পুনর্বিন্যাস চেয়েছিল, তা সম্পূর্ণ করেই পুরসভা ভিত্তিক আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে।
যদিও, সেই সংরক্ষন তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মামলা হয়েছে আদালতে। ওল্ড মালদা, ইংরেজবাজারের মত পুরসভার মামলার এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। বোলপুর পুরসভার সীমানা পুনর্বিন্যাস সবে শেষ হয়েছে। এখনও আসন সংরক্ষনের তালিকা করা যায়নি। এইসব জট খুলে শেষপর্যন্ত কতগুলি পুরসভায় ভোট হবে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়।
Be the first to comment